শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০২১, ০৫:০১ বিকাল
আপডেট : ০১ জুন, ২০২১, ০৫:০১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে ৬ টুকরো করেন প্রথম স্ত্রী ফাতেমা

মাসুদ আলম: [২] মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, নিহত ময়না মিয়া গত ২৩ মে থেকে প্রথম স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের কড়াইল বাসাতেই অবস্থান করছিলেন। পারিবারিক কলহ, টাকা-পয়সা বণ্টন ও একাধিক বিয়েকে কেন্দ্র করে ময়না মিয়ার সঙ্গে ফাতেমার মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে ফাতেমা পরিকল্পনা করে ময়নাকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে জবাই করে লাশ গুম করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কড়াইল থেকে ফাতেমা দুই পাতা ঘুমের ট্যাবলেট কিনে শুক্রবার রাতে জুসের সঙ্গে ময়না মিয়াকে খাইয়ে দেয়। ময়না সারারাত-সারাদিন ঘুমে অচেতন থাকলে সন্ধ্যার দিকে কিছুটা জ্ঞান ফিরে পায় এবং স্ত্রীকে গালমন্দ করে আক্রমণ করতে গিয়ে বিছানায় লুটিয়ে পড়ে।

[৩] তিনি আরও বলেন, ময়না পানি পানি বলে আর্তনাদ করলে ফাতেমা আবারও তার মুখে ঘুমের ট্যাবলেট মেশানো জুস ঢেলে দেয়। ময়না নিস্তেজ হয়ে খাটে পড়ে গেলে ফাতেমা তার ওড়না দিয়ে ময়নার দুই হাত শরীরের সঙ্গে বেঁধে রাখে এবং মুখ স্কচটেপ দিয়ে আটকে দেয়। ময়নার বুকের উপরে বসে তার ঘরে থাকা স্টিলের চাকু দিয়ে গলাকাটা শুরু করে। ধস্তাধস্তি করে ময়না ওড়না ছিঁড়ে তার হাত মুক্ত করে ও ফাতেমার হাতে খামচি এবং মুখ খুলে কামড় দেয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ময়না ও ফাতেমা দুজনেই খাট থেকে পড়ে গেলে ফাতেমা ভিকটিমের বুকের উপরে উঠে গলার বাকি অংশ কেটে দেয়।

[৪] পরে সকালে ফাতেমা লাশ গুম করার জন্য ধারালো চাকু দিয়ে ময়নার হাতের চামড়া ও মাংস কাটে এবং ধারালো দাঁ দিয়ে হাড় কেটে খণ্ডিত অংশকে তিনটি ভাগে রাখে। একটি লাল রঙের কাপড়ের ব্যাগে মাথা, শরীরের মূল অংশকে একটি নীল রঙের পানির ড্রামে, কেটে ফেলা দুই পা এবং দুই হাতকে একটি বড় কাপড়ের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে। এলাকা থেকে ১৩০০ টাকায় একটি রিকশা ভাড়া করে প্রথমে আমতলী এলাকায় শরীরের মূল অংশ ফেলে দেয়। পরবর্তীতে মহাখালী এনা বাস কাউন্টারের সামনে দুই হাত-দুই পা ভর্তি ব্যাগ রেখে চলে আসে বাসায়। বাসায় এসে সেখান থেকে খণ্ডিত মাথার ব্যাগটি নিয়ে বনানী ১১ নম্বর ব্রিজের পূর্বপ্রান্ত থেকে গুলশান লেকে ফেলে দেয়। রোববার রাতে মরদেহের ছয় টুকরার মধ্যে দেহ উদ্ধার করা হয় মহাখালীর আমতলী থেকে আর দুই হাত ও দুই পা উদ্ধার করা হয় মহাখালীর এনা বাস কাউন্টারের সামনের ডাস্টবিন থেকে। সোমবার ফাতেমাকে বনানী এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেপ্ততারের মরদেহের মাথা উদ্ধার করা হয় বনানীর-১১ নম্বরের লেক থেকে। তার দেখানো মতে বোরখা, ভিকটিমের রক্তমাখা জামাকাপড়, ধারালো ছুরি, ধারালো দা, বিষাক্ত পেয়ালা, শীল-পাটা উদ্ধার করে পুলিশ। ফাতেমা একাই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়