শিরোনাম
◈ সীমান্ত পাড় হওয়ার চেষ্টা, পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেপ্তার ◈ ২২ বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগ ◈ বিএনসিসি মানে আত্মমর্যাদা ও শৃঙ্খলা: প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ‘অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ার’ করে হত্যার নির্দেশ দিলেন সিএমপি কমিশনার ◈ অতীতের জটিলতা ভুলে বাস্তবতার পথে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, নতুন উদ্যোগে থাকছে যা যা ◈ বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের মহড়া, প্রথম দিন শে‌ষে স্বস্তিতে আয়ারল্যান্ড ◈ দেশের সব বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা জারি ◈ রাজধানীতে আবারও বাসে আগুন  ◈ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রমজান আমদানিতে সহজ নীতি ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ দিল্লিতে বিস্ফোরণ, বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে: তৌহিদ হোসেন

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০২১, ০৩:৩৮ দুপুর
আপডেট : ০১ জুন, ২০২১, ০৮:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সীমান্তবর্তী জেলায় কোভিডের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণে অক্সিজেন সংকট, চাপ বাড়ছে হাসপাতালে

মিনহাজুল আবেদীন: [২] চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরাসহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধি, পরীক্ষা কম হওয়া এবং চিকিৎসা ও অক্সিজেন সংকট নিয়ে চিকিৎসকদের মনেও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।

[৩] ডাক্তাররা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এখনই গুরুত্ব দেয়া না হলে হাসপাতালগুলো চাপ সামলাতে পারবে না।

[৪] এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছে। ফলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করতে বিলম্ব হলে সংকট বাড়বে।

[৫] সোমবার বিবিসি বাংলায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সভাপতি ও বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, জেলায় অক্সিজেন সংকট ও হাসপাতালে আসনের তুলনায় রোগী অনেক বেশি হওয়ায় ইতোমধ্যেই চিকিৎসাসেবা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

[৬] তিনি বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে অনেক রোগী আসছেন। যেগুলোর ডায়াগনসিস বা টেস্ট হচ্ছে না। এছাড়া অক্সিজেন স্যাচ্যুরেশন কম এমন অনেক রোগীও আসছে। এখানে কোনও আইসিইউ নেই। এই হাসপাতালে অক্সিজেনের যে ব্যবস্থা আছে, তাতে পনেরো জনকে সেবা দেয়া যাবে। তার বাইরে সম্ভব নয়।

[৭] রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক সাবেরা গুলনাহার বলেন, বিশেষ লকডাউন থাকলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অনেকেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন এবং সে কারণে আশেপাশের জেলাতে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে।

[৮] সাতক্ষীরা জেলার সিভিল সার্জন ডা. হোসাইন শাফায়াত বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব না হলে এখন চিকিৎসার চাপ সামলানো সম্ভব হবে না। সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে এখন এটা চল্লিশ শতাংশের উপরে চলে গেছে। হাসপাতালগুলোতে অনেক রোগী ভর্তি হয়েছে ফলে দেখা দিয়েছে বেড সংকট।

[৯] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, আমরা ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছি খুবই কম। এই জেলাগুলোতে যে হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ২৩ জনের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।

[১০] তিনি বলেন, এই ভাইরাস এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। আমরা যদি ওই জায়গাটা কনটেন করতে পারি তাহলে আমরা নিশ্চয়ই এটাকে প্রতিরোধ করতে পারবো। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়