মিনহাজুল আবেদীন: [২] চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরাসহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধি, পরীক্ষা কম হওয়া এবং চিকিৎসা ও অক্সিজেন সংকট নিয়ে চিকিৎসকদের মনেও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।
[৩] ডাক্তাররা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এখনই গুরুত্ব দেয়া না হলে হাসপাতালগুলো চাপ সামলাতে পারবে না।
[৪] এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছে। ফলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করতে বিলম্ব হলে সংকট বাড়বে।
[৫] সোমবার বিবিসি বাংলায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সভাপতি ও বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, জেলায় অক্সিজেন সংকট ও হাসপাতালে আসনের তুলনায় রোগী অনেক বেশি হওয়ায় ইতোমধ্যেই চিকিৎসাসেবা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
[৬] তিনি বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে অনেক রোগী আসছেন। যেগুলোর ডায়াগনসিস বা টেস্ট হচ্ছে না। এছাড়া অক্সিজেন স্যাচ্যুরেশন কম এমন অনেক রোগীও আসছে। এখানে কোনও আইসিইউ নেই। এই হাসপাতালে অক্সিজেনের যে ব্যবস্থা আছে, তাতে পনেরো জনকে সেবা দেয়া যাবে। তার বাইরে সম্ভব নয়।
[৭] রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক সাবেরা গুলনাহার বলেন, বিশেষ লকডাউন থাকলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অনেকেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন এবং সে কারণে আশেপাশের জেলাতে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে।
[৮] সাতক্ষীরা জেলার সিভিল সার্জন ডা. হোসাইন শাফায়াত বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব না হলে এখন চিকিৎসার চাপ সামলানো সম্ভব হবে না। সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে এখন এটা চল্লিশ শতাংশের উপরে চলে গেছে। হাসপাতালগুলোতে অনেক রোগী ভর্তি হয়েছে ফলে দেখা দিয়েছে বেড সংকট।
[৯] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, আমরা ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছি খুবই কম। এই জেলাগুলোতে যে হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ২৩ জনের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
[১০] তিনি বলেন, এই ভাইরাস এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। আমরা যদি ওই জায়গাটা কনটেন করতে পারি তাহলে আমরা নিশ্চয়ই এটাকে প্রতিরোধ করতে পারবো। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান