কূটনৈতিক প্রতিবেদক:[২] মঙ্গলবার দূতাবাস থেকে পাঠানো বর্তায় বলা হয়, গত ২০ বছর ধরে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি স্বাস্থ্য অনুদানের সঙ্গে যুক্ত হলো।
[৩] যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে শুধু কোভিড-১৯ মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশকে ৭৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে।
[৪] ভ্যাকসিনের ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে গৃহীত বৈশ্বিক উদ্যোগ ‘কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট’ এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের এই প্রথম চালানটি বাংলাদেশে এসেছে।
[৫] ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেন, আমরা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকটসহ ভবিষ্যতের সংকট মোকাবেলায় আরো বেশি সংগঠিত ও সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
[৬] বৈশ্বিক মহামারির বিরুদ্ধে কোনো একটি দেশ একা কাজ করতে পারে না, সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক অংশীদারগণ এই মহামারি মোকাবেলায় একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে।
[৭] যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারি কার্যক্রমকে জোরদার করতে এখন পর্যন্ত ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (ডিওডি) ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর মাধ্যমে ৭৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
[৮] এই সহায়তা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত বাংলাদেশীদের চিকিৎসা দিতে ও জীবন বাঁচাতে, পরীক্ষার সামর্থ্য জোরদার করা ও নজরদারি বাড়তে, কোভিড-১৯ এর ঘটনা মোকাবেলা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক চর্চাগুলো বাড়াতে, সরবরাহ ব্যবস্থা ও উপকরণ ব্যবস্থাপনা বাড়াতে, রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞান বৃদ্ধি, চিকিৎসা পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ; এবং কার্যকর টিকাদান কর্মসূচির প্রচারাভিযানে ভূমিকা রেখেছে।
[৯] যুক্তরাষ্ট্র কোভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আমেরিকাতে তৈরি ১০০টি সর্বাধুনিক ভেন্টিলেটর ও গ্যাস অ্যানালাইজার উপহার দিয়েছে যা বাংলাদেশকে নিজস্ব ভেন্টিলেটর তৈরিতে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশব্যাপী সম্মুখসারিতে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত কয়েক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) বিতরণ করেছে।
[১০] যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ন্যায্যতার সঙ্গে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ দাতা দেশ হিসেবে ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক জোট গাভিকে পরিকল্পিত ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, যা দিয়ে গাভি কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ন্যায্যতার সঙ্গে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :