শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০২১, ০৬:৪৮ বিকাল
আপডেট : ৩১ মে, ২০২১, ০৬:৪৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অসহায় ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে তহবিল গঠনে তুর্কি ফার্স্ট লেডি আমিনা এরদোগান !

ডেস্ক রিপোর্ট: অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমে ইসরাইলি দখলদারিত্বে বাস করা অসহায় ফিলিস্তিনি শিশুদের সাহায্যে তহবিল গঠনের লক্ষ্য নিয়ে তুরস্কের এক এনজিও সংস্থার প্রতিষ্ঠিত পুরনো পণ্যের বাজার পরিদর্শন করেছেন তুর্কি ফার্স্ট লেডি আমিনা এরদোগান। সূত্র : ইয়েনি শাফাক

শুক্রবার ইস্তাম্বুলের বালারবাশি কংগ্রেস অ্যান্ড কালচারাল সেন্টারে তুর্কি এনজিও সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট সেন্টার এডুকেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সলিডারিটি অ্যাসোসিয়েশনের (তোগেমদের) ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই বাজার পরিদর্শনে যান তুর্কি ফার্স্ট লেডি।

খেলনা, পোশাক, আসবাবপত্র থেকে শুরু করে অ্যান্টিক সামগ্রীসহ হাজারো দাতার দান করা বিভিন্ন দ্রব্য এই বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।ফিলিস্তিনি শিশুদের সাহায্যে প্রতিষ্ঠিত এই বাজার থেকে আমেনা এরদোগান বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করেন।

তুর্কি ফার্স্ট লেডি এই সময় বলেন, তুরস্ক ফিলিস্তিনের মানুষদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে, যারা সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে ভীষণ দুর্ভোগে রয়েছে। তুরস্ক কখনোই ভাগ্যের ওপর তাদের ছেড়ে দেবে না।

ফিলিস্তিনি শিশুদের সাহায্যে সবাইকে এই বাজারে আসার জন্য আহ্বান জানান আমেনা এরদোগান। অধিকৃত জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতি স্থাপনে গত ২৫ এপ্রিল ইসরাইলি আদালতের আদেশের

জেরে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে পরপর কয়েক দফা মসজিদুল আকসায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত এই সকল হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক দফতর ইউএনওসিএইএ।

মসজিদুল আকসা চত্ত্বরে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ইসরাইলকে আলটিমেটাম দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামাস রকেট হামলা শুরু করে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে মোট চার হাজার তিন শ’ ৬০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমে বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করা হলেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ অধিবাসী নিহত ও সাত শ’ ৯৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে রাত থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬৬ শিশু ও ৩৯ নারীসহ ২৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হন। হামলায় আহত হয়েছেন আরো এক হাজার নয় শ’ ৪৮ গাজাবাসী।

টানা ১১ দিনের আগ্রাসনের পর ২০ মে রাতে ইসরাইল গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। মিসরীয় উদ্যোগে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরাইলি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ২১ মে সকাল থেকে তা কার্যকর হয়। ফিলিস্তিনিরা এই যুদ্ধবিরতিকে নিজেদের বিজয় হিসেবে গণ্য করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়