শরীফ শাওন: [২] ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা জানায়, শিপিং মল, গার্মেন্ট-দোকানপাট সব খোলা, শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে করোনার দোহাই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আচরণে মনে হচ্ছে করোনার উৎপত্তিস্থল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
[৩] রোববার সকালে নীলক্ষেত মোড়ে পেট্রোল পাম্পের সামনে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ১ জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। ১ দিনের মধ্যে শিক্ষার সঠিক রূপরেখা আমাদের সামনে তুলে না ধরা হলে, সারা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথ অচল করে দিতে বাধ্য হবো।
[৪] সকালে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পৃথক সাবেমেশে একই দাবি উত্থাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ঢাবির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
[৫] আসিফ নজরুল বলেন, আমি মনে করি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটো কারণে বন্ধ আছে। প্রথমটি হলো সরকারের মধ্যে থাকা বৈষম্যের নীতি। সরকারে যারা আছে ও বড় বড় আমরা যারা আছে তাদের অধিকাংশ সন্তান বিদেশে বা বড়বড় ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে। ফলে তাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। আন্দোলনের ভয়ে সরকার আগামী নির্বাচন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে চায়।
[৬] অপর কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হলেও সরকারের কাছে শাসন জাতির মেরুদণ্ড। সমস্যা শুধু রাজনীতি আর শিক্ষা নিয়ে। এ দুটোকে বন্ধ রাখতে পারলে সরকার নিরাপদে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :