শরীফ শাওন: [২] প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট ‘ জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। বাজেটের অর্থ দিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের বিস্কুট, খিচুড়ি, ডিম ও কলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
[৩] সংশ্লিষ্টরা জানান, খাবার দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়ছে। এতে ঝড়ে পড়ার হার কমবে এবং শিক্ষার মান বাড়বে। পাইলটিং প্রোগ্রামে দেখা গেছে, রান্না করা খাবার দিলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ১১ শতাংশ এবং বিস্কুট দিলে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
[৪] পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ৫৩৩ ক্যালরি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হবে। তবে ডিম খিচুড়ি যেদিন দেওয়া হবে সেদিন শিক্ষার্থীরা ৬৩০ ক্যালরি পাবে। প্রথম দিকে সপ্তাহে ৩ দিন সবজি খিচুড়ি এবং বাকি ৩ দিন বিস্কুট দেওয়া হবে।
[৫] অর্ধদিবস স্কুলের ক্ষেত্রে দৈনিক প্রয়োজন অনুপুষ্টিকণার চাহিদার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নিশ্চিত করা। এ ছাড়া জাতীয় খাদ্যগ্রহণ নির্দেশিকা অনুযায়ী দৈনিক প্রয়োজনীয় শক্তির ১০-১৫ শতাংশ প্রোটিন থেকে এবং ১৫-৩০ শতাংশ চর্বি থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে। ন্যূনতম খাদ্য তালিকার বৈচিত্র্য বিবেচনায় নিয়ে ১০টি খাদ্যগোষ্ঠীর মধ্যে ন্যূনতম চারটি খাদ্যগোষ্ঠী নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে।
[৬] পাইলটিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৩৪৯টি বিদ্যালয়ে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে খাওয়ানো হচ্ছে। দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় ২০০০ সাল থেকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চলছে। সারাদেশে ৬৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :