এস এম সাব্বির: [২] গোপালগঞ্জ পৌর এলাকায় লবণাক্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে পৌর সভার লক্ষাধিক মানুষ বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়ে নাকাল হয়ে পড়েছেন। এছাড়া পৌর কর্তৃপক্ষ চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল পানি সরবরাহ করছে। পৌরবাসী যতটুকা পানি পাচ্ছেন তা সবটা লবণাক্ত। ফলে ছোট-বড় সকল বয়সী মানুষের পেটের পীড়াসহ শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে।
[৩] গোপালগঞ্জ শহরের দক্ষিণ মৌলভীপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ নূরুজ্জামান বলেন, বিশুদ্ধ পানির অভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা লবণাক্ত হওয়ায় পান করার অনুপযোগী।
[৪] গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম লিপন বলেন, সরবরাহকৃত পানি প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। এ পানি পানের অযোগ্য। এ দিয়ে জামা-কাপড়, থালা বাটি ধোয়া যায় মাত্র। খাবার পানি হিসেবে বাইরের পানি কিনে খেতে মাসে প্রায় দেড় থেকে ২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এর মধ্যে মার্চ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত লবণাক্ত পানি সরবরাহ করা হয়। লবণাক্ত পানিতে গোসলও করা যায় না। লবণাক্ত পানির কারনে পৌরবাসী অতিষ্ট।
[৫] গোপালগঞ্জ পৌরসভার পানি সরবরাহ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক জাকারিয়া আলম জানান, পানি ঠিকমতো শোধন করা যাচ্ছে না। এজন্য লবণাক্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
[৬] গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু বলেন, দ্রুত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি