মোস্তফা কামাল পলাশর ফেসবুক থেকে: [২] সকাল ৮টা বেজে ১ মিনিটে সিলেট বিভাগের সকল তেল ও গ্যাস কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হতাম যে গত ১ সপ্তাহে তারা পরীক্ষামূলক কোন বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে কি না? ফ্রাকিং পদ্ধতিতে কোন তেল ও গ্যাস উৎপাদন করছে কি না?
[৩] এরপরে সকাল ৯ টা বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধানের সাথে কথা বলে গতকাল থেকে যে কয়টি ভূমিকম্প হয়েছে তার প্রত্যেকটির উৎপত্তিস্থলের বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করতাম
[৪] সকাল ১০টায় ফোন দিতাম বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ভূমিকম্প গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতারকে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত সকল বৈজ্ঞানিক তথ্য তাকে দিয়ে অনুরোধ করতাম কোন প্রকার ভয়-ভীতির উপরে উঠে সিলেটের প্রকৃত ভূমিকম্প ঝুঁকি নিয়ে মতামত দেওয়ার জন্য। সেই সাথে স্পষ্ট জিজ্ঞাসা করতাম আজ থেকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বড় মানের ভূমিকম্প হওয়ার ঝুঁকি কতটুকু?
যদি অধ্যাপক আখতার ঝুঁকির কথা বলে থাকেন যা তিনি ইতিমধ্যেই বলেছেন বিবিসি এর সাথে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তবে পরবর্তী মিটিং কতাম সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে।
[৫] সকাল ১১ টায় মিটিং ডাকতাম সিলেটে অবস্থিত সকল সরকারি সংস্থার প্রধানদের নিয়ে। তাদেরকে জানাতাম অধ্যাপক আখতার হোসেন এর সাথে আলোচনার বিস্তারিত। এর পরে তাদের কাছে যানতে চাইতাম সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে ভবিষ্যৎ দুর্যোগ মোকাবেলায় কোন ধরনের সাহায্য চায়?
[৬] দুপুর ১২ টা মিটিং ডাকতাম সিটি কর্পোরেশনের সকল কাউন্সিলরদের। তাদের মাঝে দায়িত্ব ভাগ করে দিতাম কে কোন ধরণের কার্যক্রম মনিটর করেব যদি কোন দুর্যোগময় পরিস্থিতি আসে।
[৭] দুপুর ১ টায় প্রত্যেক কাউন্সিলর নিজের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগগুলোর কর্মকর্তাদের সাথে মিটিং করে ভবিষ্যৎ দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিস্তারিত আলোচনা করতাম।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার এই পোষ্ট পরে কেউ আতংকিত হবেন না; কিংবা এই পোষ্ট ব্যবহার করে আতংক ছড়াবেন না। দুর্যোগ মোকাবেলায় এই ধরণের কার্যক্রম খুবই সাধারণ ঘটনা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে।