শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০২১, ০৮:২৫ সকাল
আপডেট : ৩০ মে, ২০২১, ০৮:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ফরিদপুরে পিঁপড়ার ডিম বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে মুহিত ব্যাপারি

সনত চক্রবর্ত্তী: [২] পৃথিবী বৈচিত্র্যময় এই বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ নানা ধরণের জীবিকা বেছে নেয়। ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে জীবিকার তাগিদে পিঁপড়া ডিম সংগ্রহ করছেন মহিত ব্যাপারি। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন।

বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পাশে দেখা যায়, একুিট লম্বা বাঁশ ও থলে হাতে এক লোক গাছে গাছে তন্ন তন্ন করে পিঁপড়া ডিম খুঁজেছেন। তার কাছে গিয়ে জানা যায় তার নাম মহিত ব্যাপাড়ি। বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলা চাঁদপুর। পিঁপড়া ডিম সংগ্রহ করতে বোয়ালমারী উপজেলা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। তিনি লাল পিঁপড়া বাসার খোঁজ করছে। তবে যেমন তেমন বাসা হলে চলবে না, চাই ডোল পিঁপড়ার বাসা। যেখানে মিলবে প্রচুর পরিমাণ সাদা রঙের ডিম। এই পিঁপড়ার ডিমই যে তার জীবিকা নির্বাহের হাতিয়ার।

তিনি জানান, সাধারণত মেহগনি, আম, লিচুসহ দেশিয় গাছ গুলোতেই লাল পিঁপড়ার বাসা পাওয়া যায়। লালা ব্যবহার করে গাছের ডালের আগার দিকের চার-পাঁচটা পাতা জোড়া দিয়ে শক্ত বাসা তৈরি করে পিঁপড়ার দল। পরে সেখানে তারা ডিম পারে। বড় বাসা থেকে ১’শ থেকে দেড়শ গ্রাম ডিম পাওয়া যায়। আশ্বিন-কার্তিক মাসে দিকে এই ডিমের চাহিদা থাকে বেশি। তবে সব থেকে বেশি ডিম পাওয়া যায় শীতের শেষের দিকে ফাল্গুন মাসে। কিন্তু সেই সময় ডিমের চাহিদা তেমন একটা থাকে না। এই ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজটি খুব সতর্কের সাথে করতে হয়। এটি সাধারণত মাছের খাবার হিসেবে বিক্রি হয়। ডিম আস্ত না রাখলে মাছ তা খায় না।

মহিত ব্যাপারি জানান, লালশো বা লাল পিঁপড়ার ডিম প্রতি কেজি ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়ে থাকেন। সাধারণ সৌখিন মাছ শিকারীরা তার কাছ থেকে এই ডিম ক্রয় করে থাকেন। এই ডিম মাছেদের খুব প্রিয় খাবার। বরশিতে আটা-ময়দা-পাউরুটি, একানির মতো আধারের সঙ্গে লালশো বা লাল পিঁপড়ার ডিম দেয়া হলে বড় মাছেরা সহজে টোপ গেলে। এজন্য যারা সৌখিন মাছ শিকারি বা টিকিট কিনে হুইল বর্ষি দিয়ে মাছ শিকার করে তাদের কাছে পছন্দের টোপ হলো পিঁপড়ার ডিম। পানির নির্দিষ্ট স্থানে আধার ফেলে মাছ ডেকে আনার জন্য এই ডিমের চাহিদা রয়েছে জেলেদের কাছেও। এই জন্য অনেক সময় জেলেরা তাদের কাছ থেকে ডিম কিনে থাকেন।

তিনি আরো জানান, আমি গরিব মানুষ। এই কাজে কোনো পুঁজি লাগে না। এজন্য তিনি এটাকে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসাবে বেঁছে নিয়েছেন। সারাদিনে সে এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করতে পারেন। আর তাতেই চলে বাবা-মা- স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে তাদের ৬ জনের সংসার। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়