স্পোর্টস ডেস্ক: ১৯৫৬ সালে ডি রেইমসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়েছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর টানা পাঁচবারসহ মোট ১৩ বার শিরোপা গেছে রিয়ালে। এ তালিকার দ্বিতীয় সেরা দল ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলান। তাদের দখলে সাতটি ট্রফি। অন্যদিকে ছয়টি করে ট্রফি জয় লাভ করেছে বায়ার্ন মিউনিখ ও লিভারপুল।
১৯৫৫ সালে ইউরোপিয়ান কাপ নামে উয়েফার হাত ধরে সৃষ্টি হয় নতুন এক ফুটবল আসর। যেখানে অংশ নেয়ার সুযোগ পায় ইউরোপিয়ান বিভিন্ন দেশের সেরা ক্লাবগুলো। তবে, ৩৭ বছর পর ১৯৯২ সালে নামে পরিবর্তন আসে টুর্নামেন্টটির। নিয়ম-কানুন এক থাকলেও পোশাকি নাম হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ।
আসরের শুরুর পাঁচবছরই শিরোপার মালিক ছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে এসে শেষ হয় রিয়াল আধিপত্য। ট্রফি যায় বেনফিকায়। থাকে দুই মৌসুম। এরপর শুরু হয় ইতালিয়ানদের রাজত্ব। টানা তিন মৌসুমের একবার মিলান, আর দু'বার ইন্টারের হাতে উঠে ইউরোপিয়ান কাপ।
১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে ষষ্ঠ শিরোপা জিতে নেয় মাদ্রিদিস্তারা। তবে, এরপর অন্তত চার মৌসুম একক রাজত্ব করতে পারেনি কেউ। এ সময়কালে একবার করে শিরোপা ঘরে তুলেছে সেল্টিক, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, এসি মিলান এবং ফেয়েনুর্ড।
পরের ১১ বছর ইউরোপিয়ান কাপ বন্দী ছিলো চার ক্লাবের হাতে। শুরুটা করেছিলো আয়াক্স। তিন মৌসুম পর তাদের থেকে নিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। দুই মৌসুম করে ট্রফি ঘরে তুলে লিভারপুল এবং নটিংহ্যাম ফরেস্ট। সেই দশকের শেষ শিরোপা জিতেছিলো অ্যাস্টন ভিলা।
১৯৯২ সালে নাম বদলের আগে এ শিরোপায় খুব একটা প্রভাব রাখতে পারেনি কোন ক্লাব। হামবুর্গ, লিভারপুল, পোর্তো, মিলানসহ বুকুরেস্টি এবং রেড স্টাররাও জিতেছিলো একবার করে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যুগে প্রবেশের পর প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয় বার্সেলোনা। পরেরগুলো গেছে মার্সেই, মিলান এবং আয়াক্সের ঘরে।
১৯৯৫-৯৬ সালে নতুন এক চ্যাম্পিয়ন পায় ইউসিএল। ইতালিয়ান জায়ান্ট য়্যুভেন্তাস। আর পরেরবার জিতে নেয় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
এরপর ২০১১-১২ মৌসুমে এক চেলসি ছাড়া কখনই আর কোন নতুন শিরোপার দাবিদার পাওয়া যায়নি চ্যাম্পিয়নস লিগে। ঘুরে ফিরে সেই রিয়াল, মিলান, বার্সেলোনা, ইন্টার, বায়ার্ন, লিভারপুল, ম্যান ইউনাইটেডদের শোকেসেই শোভা বাড়িয়েছে ট্রফিটি।
সবশেষ ২০২০-২১ মৌসুমে এসে আবারো নতুন এক চ্যাম্পিয়ন পাওয়ার আশায় বুঁদ হয়ে ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ। অবশেষে সেই শিরোপা নিজেদের ঘরে তুললো চেলসি।