ইমরুল শাহেদ: [২] দেশটির মিজ্জিমা টেলিভিশন জানায়, ৮ এপ্রিল সকাল থেকেই জান্তা সরকার পিএসআই স্যাটেলাইট ডিশগুলো বাজেয়াপ্ত করতে শুরু করলে চ্যানেলটি সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে বেকায়দায় পড়ে যায়। কারণ চ্যানেলটি পিএসআই স্যাটেলাইট ডিশের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিলো। তবে তারা দমে না গিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ইউটিউব, ফেসবুক এবং গুগল প্লেস্টোর ও আইওএসের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
[৩] নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক জান্তা ক্ষমতা গ্রহণের পর স্বাধীন গণমাধ্যমকর্মীদের গ্রেপ্তার ও গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করা শুরু করলে, গণমাধ্যমকর্মীরা আড়ালে চলে যান এবং আড়াল থেকেই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে শুরু করেন। তারা সরকার ও বিরোধী দুই দিক থেকেই চাপের মধ্যে আছেন।
[৪] ডয়েচে ভেলের ২ মের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তারা তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ দেয়। ধাপে ধাপে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করার একদিন পরই ফেসবুক, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার এবং হোয়াটসআপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেসবুক বন্ধ করায় বেশিরভাগ লোকই হতাশ হয়ে পড়ে। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে ব্রডব্যান্ড প্রোভাইড করা হয় ইন্টারনেটের একমাত্র উৎস হিসেবে। সেটাও আবার রাতে বন্ধ রাখা হয়।
[৫] রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি নিয়ে আসা হয়েছে অনলাইনে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ছবি দেখানো হয় দেশের শত্রু হিসেবে। সেনাবাহিনী পরিচালিত মায়াবতি টিভি ৩০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম একজন সেনা সদস্যকে হত্যার অভিযোগে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার খবর প্রচার করে। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত দৈনিক ‘দি গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’-এ সেনা সরকারের বৈধতা ও নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার যৌক্তিকতার সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব