সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আরও বলেন, আব্দুলমতিনের স্ত্রী কিন্তু চির রুগ্ন ছিলেন। কিন্তু তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা করেছেন স্ত্রীর। পেশার প্রতি নিষ্ঠাবান থেকে কাজ করা, এটা মতিন চৌধুরীর মধ্যে অসাধারণভাবে ছিল।
[৩] খসরুর প্রথম বিয়ে প্রেমের ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভদ্রমহিলা অসুস্থ হয়ে ছিলেন দীর্ঘদিন। কিন্তু মতিন খসরু কোনো সময়ে তার এই অসুস্থতার সময়ে অধৈর্য হয়েছেন, এটা দেখতে পাইনি। সবসময় অফিসে বা পার্লামেন্টে তার শেষ কথাটা থাকত, যাই, আপনার ভাবী অসুস্থ বাসায় আছে। যেখানে মেয়েরা বাধ্য হয়ে অসুস্থ স্বামীকে টানে, সেখানে মতিন খসরুর এই দায়িত্ব পালন অনস্বীকার্য।
[৪] সাবেক আইনমন্ত্রীর জুনিয়রদের প্রতি সাহায্যের মানসিকতা ছিল উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, তিনি তার জুনিয়র সহকর্মীদের প্রতি হেল্পফুল ছিলেন। তিনি বিরামহীনভাবে পার্টিকে সহযোগিতা দিয়ে গেছেন। তার মধ্যে কর্মী নিয়ে কোনো প্রাইভেসি দেখিনি। ‘২০০১ সালের পরে তার এলাকায় প্রচুর নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু সে সবসময় তার বাড়ি কর্মীদের জন্য দিয়ে রেখেছেন, যেন একটা লঙ্গরখানা ছিল সেটি।
[৫] শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুল মতিন খসরুর স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
[৬] বিএমএর সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, উনি একজন প্রিয় মানুষ ছিলেন। ১৯৯৬ সালে পার্লামেন্টে দেওয়া তার সেই ভাষণ একটা চমৎকার বিষয় ছিল। যেখানে জাতির পিতার হত্যাকারীদের সাজা না পাওয়ার সব পথ বন্ধ ছিল, সেখানে তিনি একাই সেই ইনডেমনিটি আইন বাতিল করতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :