কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] শনিবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে।
[৩] তিনি বলেন, এ গৌরব ও মর্যাদা আমাদের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য পেশাদারিত্ব, সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতারই ফসল। এই অর্জন বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের দেশের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
[৪] তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ওইসব দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন।
[৫] প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্থায়ী শান্তির পথ : শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তারুণ্যের শক্তি ব্যবহার’ সময়োপযোগী হয়েছে।
[৬] যারা বিশ্বশান্তির জন্য অকাতরে জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্বদরবারে দেশের পতাকাকে সমুন্নত করেছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
[৭] জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর অন্যতম, উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহŸানে সাড়া দিতে পারেন, সেজন্য সরকারের সব প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
[৮] শান্তিরক্ষী সদস্যরা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠা দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব