শিমুল মাহমুদ: [২] কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় এক দিকে যেমন সংক্রমণ বাড়ছে অন্য দিকে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ভ্যরিয়েন্ট। উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত লকডাউন দেওয়ার বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি।
[৩] তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকায় মানুষের চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। বাসা থেকেই কেউ বের হবে না, বাইরে থেকে কেউ ঢুকবে না। শুধুমাত্র চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও গণমাধ্যম কর্মীরা বের হবেন। তাহলে হয়তো সীমান্তে সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম হবো।
[৪] সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে ১০১ থেকে ৫০০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এমন জেলাগুলোর মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা সাতটি। এগুলো হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও সিলেট।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও তিনটি জেলা আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়লেই সেগুলোতে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেওয়া হবে।
[৬] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলোজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, দিন দিন শনাক্তের হার বাড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা ৩৭ জেলায় আবার লকডাউন ঘোষণা করা যেতে পারে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব