মাসুদ আলম : [২] ভারতে যৌন নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাবা বলেন, এক বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। ভেবেছিলেন চাঁদপুরে শ্বশুর বাড়িতেই আছে তার মেয়ে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে হাতিরঝিল থানায় গিয়ে ভিডিও দেখে নিজের মেয়েকে শনাক্ত করেন তিনি। হাতিরঝিল থানায় হৃদয়সহ অজ্ঞাতদের আসামি করে মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন ভিকটিমের বাবা। এ ঘটনায় জড়িতদের দেশে এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী করেন তিনি।
[৩] তিনি আরও বলেন, মগবাজার এলাকায় ফুটপাতে ব্যবসা করেন তিনি। তার মেয়ের ৬-৭ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে। মেয়ের জামাই ৩ বছর ধরে কুয়েতে থাকেন। জামাই বিদেশে যাওয়ার পর থেকে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করতেন। এ কারণে মেয়ে মগবাজারে তার বাসায় ও শ্বশুর বাড়ি উভয় জায়গায় থাকতো। ওই তরুণীর একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
[৪] ওই তরুণীর বাবা বলেন, প্রায় ১৫ মাস আগে মেয়ে জানায়, মগবাজারে বন্ধু টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে সে দুবাই যাবে। কিন্তু তিনি নিষেধ করেন। এ বিষয়ে জামাইয়ের সঙ্গে মেয়েকে কথাও বলতে বলেন। কিন্তু হৃদয় ফুসলিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে তাকে ভারতে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।
[৫] হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, হৃদয় তাকে ভালো বেতনে চাকরিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করে। এরপর সেখানে যৌন ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয় তাকে। ভুক্তভোগী ও হৃদয়সহ জড়িতদের দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :