শিরোনাম
◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২১, ০২:০০ দুপুর
আপডেট : ২৮ মে, ২০২১, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমার গান ছোটবেলা থেকেই অপ্রতিরোধ্য: আঁখি আলমগীর

ইমরুল শাহেদ: চিত্রনায়ক আলমগীর তনয়া আঁখি আলমগীর এখন স্বনামধন্য একজন গায়িকা। অর্থাৎ আঁখি নামটি এলে স্বনামধন্য পিতার নাম আর দরকার হয় না। তার ছোটবেলা থেকে আমি তার গান শুনে আসছি। কিভাবে শুনেছি, সেটা বলার জন্য একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যেতে হবে।

আলমগীর নায়ক হিসেবে যখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তখন তিনি উত্তরায় থাকতেন। তার বাড়িটির নাম ছিল তাসবীর হাউজ। ছেলের নাম অনুসারেই বাড়িটির নাম। সেই সময় বেশির ভাগ গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে আলমগীরের একটা দূরত্ব ছিল। তিনি যখন প্রয়াত পরিচালক আজহারুল ইসলাম খানের ‘মরণের পরে’ ছবিতে কাজ করছিলেন, তখন ছবির প্রযোজক সুলতান আহমেদ টনি এবং পরিচালক তাকে সপ্তাহে অন্তত একদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে বসার আয়োজন করে দেন। প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় তাসবীর হাউজ সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত থাকত। সেই সময়ে কর্মরত প্রায় সব সাংবাদিকই আলমগীরের বাড়িতে যেতেন। সেখানে আলমগীরের পেশাগত, ব্যক্তিগত - সব ধরনের বিষয় নিয়েই আলাপ আলোচনা হতো। মাঝে মাঝে তার সহধর্মিনী কবি খোশনূর আলমগীরও সাংবাদিকদের খাবার-দাবার প্রস্তুতির ব্যস্ততা থাকা সত্তে¡ও সকলের সঙ্গে বসতেন।

আলমগীর মাঝে মধ্যেই আঁখির কথা বলতেন। ছোট আঁখি ভালো গান গায় সেটাও বলতেন। একদিন বললেন, আজকে আপনারা আমার মেয়ের গান শোনেন। ডাকা হলো আঁখিকে। ছোট আঁখি সবাইকে গান শোনালেন। এভাবে শুরু হলো সকলের সামনে আঁখির গান গাওয়া। বলতে গেলে আঁখির জনপ্রিয়তা এখান থেকেই শুরু। আমিও শুধু আঁখির গান শুনতেই চলে যেতাম আলমগীরের বাসায়।

সম্প্রতি আঁখি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার মধ্যে আঁখির ছোটবেলায় গান চর্চার একটা প্রতিধ্বনি রয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার গান, আমার নাচ ছোটবেলা থেকেই অপ্রতিরোধ্য। বাড়িতে আসা যে কোনো মেহমানের জন্য চা নাস্তার সঙ্গে আমার গানের ফ্রি পরিবেশনা। সবাই বলত এই মেয়ে নিশ্চয় বড় অভিনেত্রী হবে। খুব রাগ হতো; শুনালাম গান, বলে অভিনেত্রী হবে। তার মানে গানটা ভালো হলো না? মন খারাপের সঙ্গে জেদ চেপে যেত। ভোর ৫টায় উঠে প্র্যাকটিস করতাম, ৭টায় স্কুলে যেতাম। এরপরেও মাত্র একটি ছবিতে (‘ভাত দে’) অভিনয় করেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে যাই আর সবার আমার গানটাকে পাশ কাটানোর ব্যক্তিগত তাগিদের আগুনে যেন নতুন করে ঘি ফেলা হয়। তবুও থামিনি, অতঃপর আমি আজকের কণ্ঠশিল্পী। এটাই আমার প্রফেশন, পরিচয়। এবং অবশেষে আমি গানেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করি।’ সব শেষে বলতে হয়, বড়দের প্রতি আঁখির আছে অপরিসীম শ্রদ্ধাবোধ। বিশেষ করে তার পিতার সহকর্মীদের আঁখির সম্মানবোধ প্রশ্নাতীত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়