সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর কলাবাগান থেকে সাজাপ্রাপ্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ ২২ মামলার পলাতক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। গ্রেপ্তার দম্পতি হলেন- এইচ এন এম সফিকুর রহমান (৫৯) ও কাজী সামছুল নাহার মিনা (৫৪)। তাদের বাড়ি কুমিল্লায়।
[৩] বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ব্যাটালিয়নের একটি দল কলাবাগানের বাংলামোটর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
[৪] র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, সফিকুর রহমান ২০০২ সালে আইডিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামক একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান চালু করেন। প্রতিষ্ঠানের তিনি নিজে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এই প্রতিষ্ঠান চালু করে তিনি লোকজনের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে ‘আইসিএল রিয়েল স্টেট’ নামে প্রতিষ্ঠান খুলে রিয়েল স্টেটের ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যবসাতেও তিনি মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। ভুক্তভোগীরা তার নামে থানায় এবং আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করলেও তিনি ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাতে থাকে যার ফলে ভুক্তভোগীরা অনেকেই মামলা করতে সাহস পাননি।
[৫] এরপরও তার এবং তার স্ত্রীর নামে আদালতে সাজাসহ মোট ২২টি ওয়ারেন্ট ইস্যু হলে তারা পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা প্রতি দুই তিন মাস অন্তর অন্তর বাসা পাল্টানোসহ ক্রমান্বয়ে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে থাকেন।
[৬] এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট থানার অভিযানের ভিত্তিতে র্যাব-৪ তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে মাঠে নামে।
[৭] এইচ এন এম সফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ২টি সিআর (সাজা) ওয়ারেন্ট এবং পল্টন ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় মোট ১৯টি ওয়ারেন্টসহ ৬টি মামলা ও খিলক্ষতে থানায় ১টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রী কাজী সামছুন নাহার মিনার নামে পল্টন থানায় ৩টি ওয়ারেন্ট ও চৌদ্দগ্রাম থানায় ৬টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
[৮] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তরকৃতরা এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
[৯] র্যাব জানায়, এছাড়াও প্রতারিত অসংখ্য ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :