রবিউল আলম : বিশ্ব মানবতা এখন বন্দুকের নলে, শেখ হাসিনাই উজ্জ্বল নক্ষত্র রোহিঙ্গা ও প্যালেস্টাইন ইস্যুতে। মুসলিমদের প্রথম কেবলা বলা হয়, আল-আকসা মসজিদ কে রক্ষা করবে? প্যালেস্টাইনের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার দাবি নিয়ে সুদীর্ঘকাল খেলা হয়েছে বিশ্ব মুসলিমদের নিয়ে, এখনো এই খেলার অবসান হয়নি। ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকার মতো পরাশক্তিদর দেশ বিশ^ মানবতাহীন, সৌদি, মিসর, জর্দান, লেবানে, আরব আমিরাত হৃদয়হীন বলতে পারেন। তুরস্ক, ইরানের হুঙ্কার আছে, কার্যকর হয় না যুদ্ধে। ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া-সহ অনেক মুসলিম দেশ সম্বলহীন। পাকিস্তান, আফগান বলয়ে আবদ্ধ। প্যালেস্টাইনে চীন, রাশিয়া মুসলমানের মায়া কান্নায় অংশগ্রহণ করলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে হৃদয়হীন।
ভাসানচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত কতোটা বাস্তব ছিলো, মিয়ারমার সামরিক শাসকের বক্তব্যই প্রমাণ করে। রোহিঙ্গা নিয়ে বিশ^ কী বাংলাদেশকে আর একটা প্যালেস্টাইন বানাতে চেয়েছিলো? একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বুঝতে পেরেছিলেন, মনে হয়। বিশ^ রাজনৈতিক খেলা প্যালেস্টাইনের নেতারা বুঝতে পারেননি বলেই পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার দাবিতে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। মুসলিম বিশ্বের কারো সহায়তা পাবেন না যুদ্ধে, মানবিক সাহায্য নিয়ে কাটাঘায়ে লবন দিতে আসবে। শত শত নারী শিশুর লাশের ওপর দাঁড়িয়েও আপনাদের দিয়ে বিজয় আনন্দ উপভোগ করানো হলো।
আমি এখন বিশ্বাস করি রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার ভাসানচর, প্যালেস্টাইনিদের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র নীতিই সমাধানের পথ আবিষ্কার করতে পারে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অনেক কৌশল করতে হয়েছে, বাঙালির স্বাধীনতাকে নিয়ে জীবন দিতে হয়েছে দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কাছে। প্যালেস্টাইনিরা সেদিন দ্বিরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে নিয়ে নিজেদের অস্তিত রক্ষা করতে পারতেন, আবরদের বিশ্বাস না করে।
এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি, ইসরায়েলিদেরও কোনো স্থান নেই, দ্বিরাষ্ট্র নীতিতে প্যালেস্টাইনিদের অস্তিত্ব রক্ষা করুন। সব রাষ্ট্র নিজেদের দেখে, মজা নেয় আপনাদের পুঁজি করে, বন্ধ করুন। ইসরায়েলকে মনে রাখতে হবে, প্যালেস্টাইনের অধিকারকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত আপাদের মিত্ররা আপনাদের হাতিয়ার বানিয়ে রাখবে, আপনাদের মেধা, শ্রম, অর্থ লুটের জন্য। যুদ্ধ নিয়েই কি থাকবেন? জীবন ভর? লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :