শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২১, ০২:১৭ রাত
আপডেট : ২৮ মে, ২০২১, ০২:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গুগল ২০০ ছাগল ভাড়া করেছিল কেন

ডেস্ক রিপোর্ট : ২০০৯ সালের ঘটনা। গুগলের প্রধান কার্যালয়ের কর্মীরা আর দশটা দিনের মতোই কাজ শুরু করেছেন। বাইরে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। তবে বিশেষত্বহীন। হঠাৎ কী হলো, আগাগোড়া কাচে মোড়া দেয়ালের বাইরে অদ্ভুত এক দৃশ্য দেখলেন তাঁরা। মাঠে চরে বেড়াচ্ছে প্রায় শ দুয়েক ছাগল। এমন দৃশ্য তো আর হররোজ দেখা যায় না। কর্মীরা অবাক তাকিয়ে রইলেন। এক ব্লগ পোস্টে পরে সে ঘটনার ব্যাখ্যাও দিয়েছে গুগল। প্রথম আলো

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউয়ে গুগলের প্রধান কার্যালয়ের নাম গুগলপ্লেক্স। এই গুগলপ্লেক্সের সামনে বেশ বড়সড় ফাঁকা চত্বর আছে। সে সময় ড্যান হফম্যান ছিলেন গুগলপ্লেক্সের রিয়েল এস্টেট পরিচালক। ক্যালিফোর্নিয়া গ্রেজিং নামের এক স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির কর্তাদের বললেন, গুগলপ্লেক্সের চত্বরের ঘাসগুলোর একটা রফা করা দরকার। তবে প্রচলিত না, নতুন সমাধান দিতে হবে।

এরপর সে প্রতিষ্ঠান ২০০ ছাগল পাঠিয়ে দিল। সঙ্গে পাঠায় জেন নামের বর্ডার কলি জাতের দক্ষ এক কুকুর। ছাগলগুলোর কাজ হলো, গুগলপ্লেক্সের চারপাশের ঘাস নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর ছাগলগুলো নিয়ন্ত্রণের ভার কুকুরটির।

তবে এত কাহিনি না করে লন মোয়ার, মানে ঘাস কাটার যন্ত্র ব্যবহার করলেই তো হতো। ড্যান হফম্যানও বুঝেছিলেন এর একটা ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার। গুগল ব্লগে তিনি লিখেছিলেন, ‘উচ্চ শব্দের মোয়ার ব্যবহার না করে আমরা কিছু ছাগল ভাড়া করেছি। তা ছাড়া মোয়ার চলে গ্যাসোলিনে, বাতাস দূষিত করে। এর বদলে এক রাখাল প্রায় ২০০ ছাগল নিয়ে আসে। আমাদের সঙ্গে গুগলে সেগুলো ঘাস খেয়ে সপ্তাহখানেক কাটিয়ে দেয়।’

মাউন্টেন ভিউয়ের গুগলপ্লেক্সের চারপাশটা একসময় ঘাস আর ঝোপঝাড়ে পূর্ণ ছিল। নিয়মিত পরিচর্যা না করলে সেগুলো রীতিমতো জঙ্গলে পরিণত হতো। তা ছাড়া শুকনা ঝোপঝাড়ে আগুন ধরলে তা গুগলপ্লেক্সেও ছড়িয়ে পড়ার ভয় থাকে। আর সে কারণেই নিয়মিত পরিষ্কার করার কথা লিখেছিলেন হফম্যান। পরে মজা করে লেখেন, ‘লন মোয়ার ব্যবহার করলেও তো ওই একই খরচ হতো। তা ছাড়া মোয়ারের চেয়ে ছাগলগুলো দেখতেও বেশি আদুরে!’

তারপর থেকে নাকি গুগলপ্লেক্সের চারধারে বছরের নির্দিষ্ট সময় নিয়ম করে ছাগল চরতে দেখা যায়। তবে নির্ভরযোগ্য কোনো প্রতিবেদনে তেমনটা এখনো চোখে পড়েনি।

চত্বর পরিষ্কার রাখার জন্য কেবল গুগল নয়, সানিভেলের প্রধান কার্যালয়ে ঘাস ছোট রাখতে ছাগল ভাড়া করেছিল আরেক ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান ইয়াহু। প্রতিষ্ঠানটি একবার লিখেছিল, ‘ছাগলগুলোর প্রতি আমাদের বেশ মায়া জন্মে গেছে। সেগুলো চলে যাওয়ার সময় বেশ দুঃখই লাগে।’

এখনো যদি মনে হয় আমরা মজা করছি, তবে পড়ে দেখতে পারেন ড্যান হফম্যানের ব্লগ পোস্টটি।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়