আমিনুল জুয়েল: উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফুলের গাছ খাওয়া ও নষ্ট করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছাগল মালিকের দুই হাজার টাকা জরিমানার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ওই এলাকার সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পড়েছেন আদমদীঘি উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সীমা শারমিন। এমন বিব্রতকর অবস্থায় নিজেই জরিমানার টাকা দেন এবং ওই ছাগলটিকে মালিকের হাতে তুলে দেন। দশ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা চত্বরে মালিকের কাছে ছাগলটিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে ‘ফুলের গাছ খেয়ে ফেলায় ছাগলের জরিমানা!’ এমন শিরোনামের সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে ইউএনও বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যান। পরে বাধ্য হয়ে জরিমানার টাকা নিজেই পরিশোধ করে মালিকের কাছে ছাগল ফিরিয়ে দেন।
এব্যাপারে ইউএনও সীমা শারমিন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনে সেই ছাগলটিকে মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, মালিকের জরিমানা করা হয়েছিল শুধু সংশোধনের জন্য, শাস্তির জন্য নয়। আর ছাগল বিক্রির খবর ভিত্তিহীন। ছাগলটি অন্য একজনের জিম্মায় রেখেছিলাম।
দশ দিন পর ছাগল পেয়ে মালিক সাহারা বেগম বলেন, এভাবে একটি অবলা পশুকে আটকে রাখা ঠিক না। এই দশ দিনে ছাগলটি নাকাল হয়েছে। এই অবলা পশু যদি বাগানের কোন ক্ষতি করে থাকে তবে ইউএনও স্যার এটিকে খোয়াড়ে দিতে পারতেন।
এর আগে গত ১৭ তারিখে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফুলের বাগানে প্রবেশ করে গাছ, পাতা ও ফুল খেয়ে ফেলে ছাগলটি। সেইসাথে অনেক গাছ নষ্টও করে। পরে ইউএনওর নি উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফুলের বাগানে প্রবেশ করে গাছ, পাতা ও ফুল খেয়ে ফেলে। সেইসাথে অনেক গাছ নষ্টও করে। পরে ইউএনওর নির্দেশে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী ওই ছাগলটিকে বেঁধে রাখে।
ছাগল বাড়িতে না ফেরায় জিল্লুরের স্ত্রী সাহারা বেগম খুঁজতে বের হোন। এসময় তিনি উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতর ছাগলটিকে বাঁধা দেখতে পান। এসময় তিনি ছাগল নিতে গেলে এক নিরাপত্তাকর্মী তাঁকে ফিরিয়ে দেন। তাঁকে জানানো হয়, ফুলগাছ খাওয়ায় ওই ছাগলের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে ছাগল ছেড়ে দেওয়া হবে।
পরে বিভিন্ন পত্রিকা এবং ফেসবুকের সুবাদে সংবাদটি ভাইরাল হয়। এতে তোপের মুখে পড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
মালিকের অনুপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বগুড়া বারের সিনিয়র আইনজীবী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শেখ কুদরত -এ- এলাহী কাজল জানান, প্রচলিত আইন অনুসারে ছাগল উৎপাত বা গাছ নষ্ট করলে খোঁয়াড়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা আটক রাখা বা বিক্রি করা যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :