শাহীন খন্দকার: [২] অধ্যাপক ডা. মো.শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেছেন, এই রোগ বহুপূর্ব থেকেই ছিল। তিনি বলেন, এই জীবাণু বা ফাঙ্গাস মাটি, পানি ও বাতাসে ছড়িয়ে থাকলেও সংক্রমণ ক্ষমতা খুবই কম। এই ছত্রাক প্রাণীদের বিষ্ঠায়, বাসী খাবার ও ফল, দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত খাদ্য সামগ্রী, অপরিস্কার মাস্ক, অক্সিজেন ও আইসিইউ এর হিউমিডিফায়ারের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। তবে সুস্থ মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
[৩] উপচার্য আরও বলেন, কোনো কারণে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই কেবল এই সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ১ লাখে মাত্র ২০ থেকে ৩০ জন আক্রান্ত হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগী, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন, ক্যান্সারের রোগী, অতিরিক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, অন্তসত্ত্বা মহিলা, অত্যাধিক স্টেরয়েড গ্রহণ করা রোগী, কিডনি বা অন্য অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা রোগী এবং চরম অপুষ্টিজনিত রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
[৪] ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্লাক ফাঙ্গাস এর রাইনো অরবিটাল সেরিব্রাল ধরণটি নাক দিয়ে ঢুকে চোখ ও মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে। এই রোগের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে লাইপোসোমাল এমফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনের পর্যাপ্ত যোগান নিশ্চিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার ডা. মিল্টন হলে অধ্যাপক ডা. মো.শারফুদ্দিন আহমেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে সভায় এসব কথা বলেন।
[৫] তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পারস্পরিক সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণামূলক কার্যক্রমসহ করোনাভাইরাসের বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থিত সকলের মাঝে তুলে ধরেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :