সমীরণ রায়: [২] তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, কিছু আলেম নামধারী ব্যক্তিবর্গ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছানোতে লিপ্ত। আপনারা দেখেছেন বাবুনাগরী-মামুনুল হকের অবৈধ সম্পদের ফিরিস্তি বেরিয়ে এসেছে। কোন দেশে দোকান আছে, ক’টা লরি আছে, এগুলো বেরিয়ে এসেছে। মাদ্রাসা দেখিয়ে বিভিন্ন দেশ এবং দেশের বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে থেকে তারা চাঁদা সংগ্রহ করে। আর সেই টাকা দিয়ে পরস্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে যায় ফুর্তি করার জন্য। এমনকি জাকাত-ফিতরার টাকাও তারা আরাম আয়েশের জন্য নিজেদের একাউন্টে নিয়ে গেছে। এরা কি আলেম! এরা আলেম নামধারী কলঙ্ক।
[৩] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইসলামের কথা বলে যারা মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়, ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেয়, ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, এরা ইসলামের শত্রু। যারা ধরা পড়েছে তারা ছাড়াও ইসলামের শত্রু আরো আছে, তাদেরকেও চিহ্নিত করে বর্জন করা ও তাদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রয়োজন। এই মুখোশ উন্মোচনের কাজটি করার জন্য আলেমদের প্রতি আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’
[৪] মন্ত্রী বলেন, সরকার আলেম ওলামাদের জন্য অনেক কাজ করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই ইসলামের খেদমতে নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। শেখ হাসিনা কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন, তাদেরকে সরকারি চাকরিও দিয়েছেন। তার নির্দেশে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ, প্রায় ৮৪ হাজার মসজিদভিত্তিক মক্তব, প্রতিটি মক্তবের আলেমকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেয়ার বিষয়টি যেমন জনগণকে জানানো প্রয়োজন তেমনি তারা ইসলামের কথা বলে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। সেটিও জনগণকে জানানো প্রয়োজন। '
[৫] মন্ত্রী এসময় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে বাংলাদেশের নীতির এক চুলও পরিবর্তন আমাদের সরকার করেনি।
[৬] বৃহস্পতিবার রাজধানীর বায়তুল মুকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ‘ধর্মের নামে অরাজকতা, তথাকথিত ধর্মীয় নেতাদের ধর্মহীনতা এবং শান্তির ধর্ম ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
[৭] ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মো. মামুনুর রশিদ বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি আয়োজিত আলেমদের এ সভায় বক্তব্য রাখেন।
[৮] ইউনাইটেড ইসলামী পাটির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বোর্ডের সদস্য ড. মুফতি মাওলানা কাফিল উদ্দিন সরকার সালেহী প্রধান বক্তা হিসেবে এবং ইউনাইটেড ইসলামী পাটির মহাসচিব শাইখুল হাদিস মাওলানা মুফতি শাহাদাত হোসাইন সভায় বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :