মাসুদ আলম: [২] বৃহস্পতিবার সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, শামীম আহমেদ চাকরি করতেন একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানে। সেইসূত্রে বিমানবন্দরের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়। চাকরিসূত্রে আয়ত্ব করেন বিভিন্ন প্রতারণার কৌশল। পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। শামীম কখনও মোস্তফা মনির, আবার কখনও মোশাররফ পরিচয় দিতেন। শামীমের বান্ধবী তানজীলা সুলতানা সমাপ্তি (২৫)। তিনি নিজেকে বিমানের এয়ার হোস্টেস বা কেবিন ক্রু হিসেবে পরিচয় দিতেন।
[৩] তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শামীম ও তানজীলাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অন্য দু’জন হলেন- বজলু রশিদ ও শরিফুল ইসলাম। শামীম নিজেকে কখনও এমডি পরিচয় দিতেন। বিমানে চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে ১৩ থেকে ১৭ লাখ টাকা করে আত্মসাৎ করে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বিমান বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের যোগসাজশের আভাস পাওয়া গেছে।
[৪] ওমর ফারুক বলেন, চক্রের সদস্যরা বিমানের নিয়োগের সার্কুলার হওয়ার পর তাদের এলাকার লোকজনকে বিমানে চাকরি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। নিয়োগপ্রত্যাশীদের ভুয়া পরীক্ষা নেয় এবং তাদের সবাইকে ফেল করিয়ে দেয়। ফেল করা চাকরিপ্রত্যাশীদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরও টাকা হাতিয়ে নেন। বিমানের একটি বিভাগে সহকারী পরিচালকের চাকরির জন্য শামীমকে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা দিয়েছেন একজন ব্যক্তি। ওই ভুক্তভোগীর মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
[৫] তিনি আরও বলেন, তানজীলা বিবাহিত নন, তবে ঢাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে শামীমের সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বজলুর রশিদ সেনাবাহিনীর সৈনিক হিসেবে র্যাবের সদস্য ছিলেন। একটি ডাকাতির মামলায় তাকে চাকরিচ্যুত করে জেলে পাঠানো হয়। বজলুর রশিদ বিমানের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বডিগার্ড পরিচয় দিতেন।
আপনার মতামত লিখুন :