শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২১, ০৪:১৮ দুপুর
আপডেট : ২৭ মে, ২০২১, ০৪:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোভিড নগদ সহায়তা নিতে ১০০ টাকায় ১৭ টাকা খরচ করেছে গরিবেরা: সিপিডি

বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] কোভিডে দরিদ্র মানুষ সরকারের নগদ ১০০ টাকা সহায়তা নিতে ১৭ টাকা খরচ করতে হয়েছে। সরকারের ত্রাণ সহায়তার উপর করা সিপিডি ও অক্সফামের যৌথ জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে ঋণ সহায়তা ছাড়া প্রধান তিনিটি সহায়তার বিষয়ে জরিপ করা হয়। এই ৩টি বিষয় হলো, খাদ্য সহায়তা বা রিলিফ, নগদ সহায়তা ও প্রধানমন্ত্রীর এককালীন ২৫০০ টাকা করে দুই দফার সহায়তা।

[৩] নগদ সহায়তা নিতে শতকরা ১৭ টাকা খরচের বিষয়ে বলা হয়, অনেকের ফোন নাম্বার ছিল না। অনেকে এ বিষয়ে জানতো না। ব্যাংকে একাউন্ট খোলতে হয়েছে। আবার টাকা নিতে তাকে ট্রান্সপোর্ট ভাড়া করে বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছে। এরকম কিছু বিষয় মিলে এই অর্থ খরচ হয়েছে। তবে জরিপে বলা হয় ত্রাণ বিতরণে দুর্নীীত অনেক কমে গছে। ডিজিটাইলেজন, ক্যাশ টাকা ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ত্রানের দুর্নীতি অনেক কমানো হয়েছে।

[৪] রিপোর্টে বলা হয়, সরকারের রাজস্ব আয় কম থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনের তুলনায় কম সাহায্য বরাদ্দ করতে পারছে সরকার। কোভিডে গরীব হয়েছে এমন মানুষদের মাত্র ৩৪ শতাংশ ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে। এটি শহরে বেশি হলেও গ্রামে এই সংখ্যা আরো কম। ১৮.৯ শতাংশ গ্রামের মানুষ সরকারের ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে। রিপোটৃ উপস্থাপনের সময় সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোভিডে নতুন অনেক মানুষ দরিদ্র হয়েছে। আবার অনেক মানুষ দরিদ্র থেকে আরো নীচে নেমে গেছে। নতুন দরিদ্ররা সরকারের নগদ সহায়তা পেয়েছে ৭.৬ শতাংশ। চালসহ অন্যান্য সহায়তা পেয়েছে ১.৫ শতাংশ। গরিব মানুষ ত্রাণ স্পর্কে জানেন খুবই কম। ত্রাণ স্পকেৃ ধারণা রয়েছে ১.৬ শতাংশ মানুষের। কোন বিশেষ ক্রাইটেরিয়ায় তাদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা জানেন না অনেকে। সরকারের সহায়তা যারা পেয়েছেন তাদের তালিকা টাঙ্গিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও অনেক জায়গায় তা টাঙ্গানো হয়নি। কোন ত্রাণ কারা পাবেন এ বিষয়েও কোন ধারনা ছিল ত্রাণ গ্রহীতাদের।

[৫] ড. মোস্তাফিজ বলেন, কোভিডে নতুন গরিবদের অনেক ক্ষেত্রেই সনাক্ত করা হয়নি। এ নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মানসিকতা সঠিকতা নির্নয় করতে পারেনি। বাড়িতে হয়তো টিনের ঘর আছে কিন্তু তার চলার মতো অবস্থা আছে কিনা সেটি তারা বিচার করেনি। এরজন্য তিনি সুপারিশ করেন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় এনজিওদের ত্রাণ তৎপরতায় যুক্ত করলে এ বিষটির সমাধান হতে পারে।

[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু ইউসুফ বলেন, ত্রাণ বিতরণে ট্রান্সপোর্ট কস্ট দেয়া হয়নি। ফলে গরীবেরা যথাযথ ত্রাণ পাননি। সরকারের এ ২ আই প্রকল্পের আরিফ চৌধুরী বলেন, নতুন গরীবদের জন্য সরকার ৩৩৩ একটি এ্যাপ চারু করেছে। সেখানে এর পর্যন্ত ১৪ লাখ মানুষ ত্রাণের জন্য সহায়তা চেয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, কোভিডের কারণে গরীব হয়ে গেছেন এমন ব্যক্তিদের সনাক্ত করার জন্য মোবাইল ফোনের সাহায্য নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কাজ করছে এ টু আই প্রকল্প। অনুষ্ঠানে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান বলেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৭ কোটি লোকের একটি ডাটাবেজ তৈরি করেছে। ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি কমে গেছে। দেশে খাদ্যাভাবে রয়েছে এমন কোন রিপোর্ট আমাদের কাছে আসেনি। তিনি স্বীকার করেন চাহিদা অনুযায়ি ত্রাণ সরবরাহ করা যায়নি। তবে প্রায়োরিটি বেসে সবাইকেই ত্রাণ দেয়া হয়েছে।

[৭] ত্রাণ নিয়ে বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য বলেন, বিরোধি দলের এলাকায় ত্রাণ কম দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয় ত্রাণ বিতরণে স্থানীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি ত্রাণকাজে সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করার কথাও বলেন।

[৮] কোভিডের ত্রাণ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ের অনেক ব্যক্তি অনুষ্ঠানে বলেন, ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রিতি হচ্ছে। নগদ বিতরণেও কিছু অনিয়ম হচ্ছে। তারা বিশেষ করে অভিযোগ করেন কৃষি ঋণ বিতরণে। সেখানে নানা ধরনের দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। অনেকে স্থানীয় সাংবাদিকদের ত্রাণের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করেন।

[৯] ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ত্রাণের অনিয়ম সম্পর্কে অনেকেই অভিযোগ করেন না। এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। তা ছাড়া যারা ত্রাণ দিচ্ছেন তাদের মনোভাবেরও প্রয়োজন দরকার। এটি ত্রানের কাজে একটি বিরাট বাধা বলে মনে করেণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়