ইমরুল শাহেদ: এমনটাই জানালেন ছবিটির পরিচালক বেলাল সানি। এটি একটি হররর ম্যুভি। পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর অর্থাৎ প্রতিটি ফ্রেমেই পরিচালকের কোনো না কোনো কারসাজি আছে। এ ধারার কোনো ছবি এদেশে আগে কখনো হয়নি। পরিচালক বেলাল সানি অত্যন্ত যতœ নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছেন বলে জানালেন। ছবিটির ট্রেলার দেখে মনে হলো এই বুঝি কোনো একটি চরিত্র বিপদে পড়ে গেল। গাছ খেয়ে ফেলছে মানুষকে। রাতের জঙ্গলে ঘটে চলেছে নানা অদ্ভূত ধরনের ভুতুড়ে ঘটনা।
প্রতিটি দৃশ্যেই রয়েছে রহস্যের ছোঁয়া। পরিচালক বলেন, ছবিটি মুক্তির জন্য রেডি আছে। কিন্তু ঈদুল ফিতরে ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও ছবিটি মুক্তি দেওয়া যায়নি। ঈদুল আযহায় জড়ো হয়েছে অনেক ছবি। কি করব ঠিক বুঝতে পারছি না। মাত্র সাত-আটটি নাটকের নির্মাণ অভিজ্ঞতা নিয়ে বেলাল সানি এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন। তবে নাটক বেলাল সানির মূল ভিত্তিভূমি নয়। তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছেন এ্যানিমেশন কাজ দিয়ে। তারই স্বাক্ষর বহন করছে ডেঞ্জার জোন ছবিটি। বেলাল সানি বলেন, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন। বাপ্পী চৌধুরীকে দেখা গেল নতুন লুকে। প্রকৃতপক্ষে আলাদা লুক বলে কিছু নেই।
তাকে ভিন্ন কোনো গেটআপ দেওয়া হয়নি। বাপ্পীকে তার মত করেই ছবিটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেভাবেই তিনি চমৎকার করেছেন বলে পরিচালক জানালেন। এছাড়া ছবিটি শিল্পী নির্ভরতার চাইতে জোর দিয়েছেন এ্যানিমেশন কাজের দিকে। বেলাল সানি বলেন, ‘নাটক নির্মাণে আমার মনোযোগ তেমন একটা কখনোই ছিল না। একটি ধারাবাহিকের পাঁচ পর্ব পর্যন্ত করে ছেড়ে দিয়েছি। কারণ আমার আগ্রহ ও অস্তিত্ব জুড়ে ছিল এ্যানিমেশনের কাজ।’ এ ছবিতে বাপ্পীর বিপরীতে রয়েছেন জলি। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘অঙ্গার’ ছবি দিয়ে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ডেঞ্জার জোন তার চতুর্থ ছবি। কিন্তু শোনা যাচ্ছিল চলচ্চিত্র ছেড়ে দিয়ে সংসারী হয়ে গেছেন জলি। পরিচালক বেলাল সানি জানালেন অন্য কথা। তিনি বলেন, জলির সঙ্গে তার যেটুকু কথা হয়েছে তার সারবস্তু হলো, ডেঞ্জার জোন কেমন ব্যবসা করে তার ওপর নির্ভর করছে জলির পরবর্তী সিদ্ধান্ত। তবে জলি চলচ্চিত্র ছেড়ে চলে যাননি।
আপনার মতামত লিখুন :