জুলফিকার আমীন:[২] ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবন থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ভেসে আসা দুটি হরিণ বন বিভাগের কাছে বৃহস্পতিবার সকালে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসি।

[৩] জানাগেছে, উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের উলুবাড়িয়া গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসকারি জেলে শহিদুল ইসলাম খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে তার নৌকার পানি সেচ করে ঘরে ফেরার পথে বেড়িবাঁধের পাশে ঝোপঝাড়ের ভিতর শব্দ পেয়ে দেখে একটি হরিণ। এ সময় সে তাড়া করলে দৌড়ে পূর্ব দিকের মাঠে পড়ে। পরে এলাকাবাসী বিশ্বাস বাড়ির সামনে থেকে হরিণটিকে উদ্ধার করে ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বেপারীর বাড়িতে রাখেন।

[৪] তার কিছু সময় পরে ওই একই এলাকায় আরেকটি হরিণ দেখতে পায়। এ সময় এলাকাবাসী তাড়া করলে পার্শবর্তী এলাকা গোলবুনিয়া গ্রামের আমতলা বাজারের উত্তর পার্শে মিলন ফরাজী বাড়ির সামনে থেকে অপর হরিণটিকে আটক করে। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক জনতা এক নজর হরিণ দুটিকে দেখতে ভীড় জমায়।

[৫] উলুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ নজরুল ইসলাম বেপারী জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয়রা চিত্রা হরিণ দুটি আটক করে। পরে শরনখোলা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দিলে হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল বন বিভাগের সদস্যরা এসে হরিণ দুটিকে গহীন বনে ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রলারে করে নিয়ে যায়।

[৬] বগী ফরেস্ট স্টেশনের সহকারি স্টেশন কর্মকর্তা (বন প্রহরী) হাবিবুর রহমান বলেন, মোবাইল ফোনে লোকালয়ে হরিণ আটকের কথা শুনে উত্তাল নদীর ঢেউ উপেক্ষা করে ট্রলার নিয়ে ছুটে যাই। এবং এলাকাবাসীর উস্থিতিতে হরিণ দুটি গ্রহণ করি।

[৭] শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদিন বলেন, ঘূণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অতি জেয়ারের জলোচ্ছাসের কারনে হরিণ দুটি ভেসে আসছে বলে ধরনা করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃত হরিণ দুটি সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।