শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২১, ১২:৪০ দুপুর
আপডেট : ২৭ মে, ২০২১, ১২:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সাতক্ষীরায় ইয়াসের তান্ডবে ২২টি পয়েন্ট বেঁড়িবাধে ভাঙন, ৬০ গ্রাম প্লাবিত ভেসে গেছে সাড়ে ৪হাজার মৎস্য ঘের

আসাদুজ্জামান:[২] ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনি’র দশটি ইউনিয়নের বেড়িবাধ ও মৎস্য ঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ২২টি স্থানে উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে এবং ৩৪ টি স্থানে উপচে পড়া পানিতে জেলাব্যাপী প্লাবিত হয়েছে কমপক্ষে ৬০ টি গ্রাম। ভেসে গেছে কমপক্ষে সাড়ে চার হাজার মৎস্য ঘের।

[৩] জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর, গাবুরা, কৈখালী, নুরনগর ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে ৯৫০ হেক্টর জমির দুই হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে।

[৪] টাকার হিসেবে ক্ষতি পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আশাশুনি সদর, বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমির দুই হাজার ৫৬০টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। টাকার হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

[৫] সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবের পর উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। এতে উপকূলীয় বাঁধ উপচে ও বাঁধ ভেঙে ৪ হাজার ৫৬০ টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

[৬] আম্পানের থেকেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতির পরিমাণ বেশী হয়েছে। বর্তমানে ঘেরের মাছগুলো সব বিক্রি উপযোগী হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে চাষীদের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে।

[৭] এদিকে, উপকূলীয় বেড়ি বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে প্লাবিত হয়েছে আশাশুনি উপজেলার হরিখালী, চাকলা, কল্যাণপুর, রুইয়েরবিল, নাকনা, কুড়িকাউনিয়া, বলাবাড়িয়া, মানিকখালী. হাজরাখালী, গদাইপুর, কেয়ারগাতি, কালিগঞ্জ উপজেলার ঘোজাডাঙ্গা, কালিগঞ্জ সদর, বাজারগগ্রাম, নাজিমগঞ্জ, বসন্তপুর, হাড়দ্দহ, দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর, ভাতশালা, চরশ্রীপুর, টাউনশ্রীপুর, সুশীলগাতি, বসন্তপুর, নাংলা ও সখিপুর।

[৮] শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি, রমজাননগর, নুরনগর ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় কমপক্ষে ৬০ টি গ্রাম কমবেশী প্লাবিত হয়েছে।

[৯] সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ইয়াসে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাধের। সাতক্ষীরায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগ থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। তালিকা পাওয়ার পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়