শিরোনাম
◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি ◈ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি ◈ ভারতের রপ্তানি করা খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ ◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের স্বাক্ষর

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২১, ০৩:০৭ রাত
আপডেট : ২৭ মে, ২০২১, ০৩:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডুবতে থাকা জাহাজ থেকে যেভাবে উদ্ধার হলেন ১২ নাবিক

নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল সাগরে বড় বড় ঢেউ ও প্রচণ্ড বাতাসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবোচরে আটকে যায় পাথরবাহী একটি লাইটার জাহাজ। এতে আটকা পড়েন জাহাজটির ১২ জন নাবিক। একপর্যায়ে ঢেউয়ের পানি ঢুকে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন নাবিকেরা। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। প্রথম আলো

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ১ হাজার ৯০০ টন পাথর নিয়ে ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটির নাম এমভি সান ভেলি-৪। ঢেউয়ের পানি ঢুকলেও তা পাম্প করে বের করে দেওয়ায় জাহাজটি ডুবেনি। এখন ডুবোচরে আটকা অবস্থায় ভাসছে জাহাজটি।

জাহাজটির নাবিকদের উদ্ধার করার ঘটনা বর্ণনা করে বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন মীর মাহমুদ হোসেন বুধবার রাতে বলেন, জাহাজটি থেকে নাবিকেরা পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান। পরে বিষয়টি পুলিশ বিভাগ থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে জানানো হয়। শুরুতে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো যায়নি। আবহাওয়া উদ্ধার কার্যক্রমের উপযোগী হলে বিমানবাহিনীর দুটি মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বেলা দেড়টায়।

সেখানে জাহাজটির ওপর ‘উইনচিং কেবল’ ফেলে নাবিকদের হেলিকপ্টারে তোলা হয়। পরে পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে এনে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জাহাজটির মাস্টার তোতা মিয়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘উত্তাল ঢেউ ও প্রচণ্ড বাতাসে জাহাজটির খোলে পণ্য রাখার লোহার একটি ঢাকনা উড়ে যায়। মূল নৌপথ থেকে সরে যাওয়ার পর ডুবোচরে আটকে যায়। সাগরে সে সময় বড় বড় ঢেউ থাকায় সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার দেখে আতঙ্ক দূর হয়।’ তিনি জানান, এখন আবার তাঁরা একটি সাহায্যকারী জলযান বা টাগবোট নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটির কাছে যাচ্ছেন।

দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটিতে এখন কোনো নাবিক নেই। তবে সাগর শান্ত রয়েছে। আপাতত হাতিয়া থেকে একদল নাবিককে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে পাঠানো হচ্ছে বলে মালিকপক্ষের লোকজন জানিয়েছেন। নাবিকদের দলের একজন মো. এনায়েত বলেন, জাহাজটি পাহারা দেওয়ার জন্য তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন।

অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. সেলিম বলেন, জাহাজটি আটকা পড়লেও ডুবে যায়নি। জাহাজটি নিরাপদ রয়েছে। মূল নৌপথ থেকে দূরে থাকায় জাহাজ চলাচলেও কোনো সমস্যা হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়