আসিফুজ্জামান পৃথিল, সুমাইয়া ঐশী: [২] উড়িশ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চালিয়ে দুর্বল হয়ে ঝাড়খণ্ড অভিমুখে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ৩ লাখ বাড়িঘর বিধ্বস্ত, নিহত ১। উড়িশ্যায় ক্ষয়ক্ষতি হলেও নিহত হয়নি কেউ।
[৩] স্থানীয় সময় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা এবং সাড়ে ১১টার মধ্যবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি বালাসোরের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিয়ে উত্তর উড়িশ্যার উপক’ল অতিক্রম করে। গতিপথে সুন্দরবন না থাকায় ঝড়টি পূর্ণ শক্তি নিয়েই ভারতের পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়েছে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। কিছু সময়েরজন্য গতিবেগ ১৫০ কিলোমিটারে উঠে যায়। এনডিটিভি
[৪] বেলা দেড়টার দিকে শক্তি হারিয়ে ইয়াশ শক্তিশালী ঘূণিঝড়ে পরিণত হয়। সন্ধ্যা নাগাদ এটি সাধারণ ঘূণিঝড়ে নেমে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এটি উত্তর-পশ্চিমে ঝাড়খণ্ডের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলো। ওয়ার
[৫] বুধবার উড়িশ্যার সবচেয়ে ক্ষতির শিকার জেলাগুলো হলো বালাসোর, ভদ্রক,জগৎসিংপুর ও কেন্দ্রপাড়া। পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগণা, দিঘা, পূর্ব মেদনিপুর এবং নন্দিগ্রাম। কলকাতার ১৩টি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দ্য টেলিগ্রাফ
[৬] দিঘায় সাগরে মাছ ধরার চেষ্টা করতে গিয়ে একজন মারা গেছেন। শহরটিতে প্রায় দোতলা বাসের সমান জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পড়ে। মঙ্গলবার সেখানে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুজন মারা যান। এএফপি
[৭] পশ্চিমবঙ্গে ১৫ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১৩৪টি বাধ। সব মিলিয়ে ১০ কোটি রূপির ত্রাণ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। নোনা পানি প্রবেশ করায় বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে ফসলের। এএনআই
[৮] তবে উড়িশ্যায় খুব বেশি অবকাঠামো ক্ষতি হয়নি। তবে প্রচুর গাছপালা উপড়ে গেছে। ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায় কলকাতার সুবাশ চন্দ্র বসু ও ভুবনেশ^রের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।