ফজলুল বারী : করোনায় নানা দেশের নানান সংকট। বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীর নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দেশটির বছরে ১৪ বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রি ধসে গেছে করোনায়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্তর লোকজন চাকরি হারিয়েছেন। বিদেশি ছাত্রছাত্রী নির্ভর নানান কর্মক্ষেত্রে কর্মী সংকট চলছে। এর জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ঘোষণা দিয়েছেন, তার পরবর্তী বড় লক্ষ্য বিদেশি ছাত্রদের অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে আনা। এ নিয়ে নানান প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এখনো অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ বাণিজ্যিক পর্যায়ে বন্ধ। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ এই বিমান চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে। এখন বিভিন্ন দেশে আটকাপড়া অস্ট্রেলিয়ানদের বিশেষ ভাড়া করা বিমানে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তাদের নিজ খরচে থাকতে হয় ১৪ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইনে। করোনা কবলিত ভারত থেকে যাদের আনা হচ্ছে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে দারউইনের একটি পরিত্যক্ত জেলখানায়।
ভারতে আটকাপড়া লোকজনকে ফিরিয়ে আনতে এ বছরের বাকি সময় লেগে যেতে পারে। সে যেখান থেকে আসুন না কেন কোয়ারেন্টাইন শেষে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া কারো বাড়িঘরে যাবার কোনো সুযোগ নেই। এখন বিদেশ থেকে যে সব নতুন ছাত্রছাত্রী আসবেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে তাদের সোজা এসব কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেওয়া হবে। কোয়ারেন্টাইন শেষে করোনা নেগেটিভ সনদপ্রাপ্তি শেষে যেতে পারবেন বাড়িতে এবং ক্যাম্পাসে। আমরা অনেক দিন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসা নতুন ছাত্রছাত্রীদের নানাভাবে সহায়তা দিই। পুরনোদের নিয়ে এবারও নতুনদের আবাসিক এবং কাজের ব্যবস্থায় সহায়তা আমরা করবো। এবার এই সহায়তা কার্যক্রম চলবে অমর্ত্য ফাউন্ডেশনের ব্যানারে।
বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের প্রাথমিক কাজ মানে কিচেনহ্যান্ড, ক্লিনিং এসব। যারা ‘জব চাই জব দিয়েন’ শ্লোগানে অভ্যস্ত তাদেরকে অনুরোধ বাড়িতে অথবা শপিংমলে এ কাজগুলো দেখা, এগুলোর চর্চা করা। এখানে সবাই চায় হাস্যজ্জ্বল, দ্রুতগতির বিনয়ী কর্মী। যেহেতু ঘণ্টা ধরে ডলারে পেমেন্ট দেওয়া হয় তাই এসব নিয়ে সবাইকে আন্তরিক সতর্ক থাকতে হয়। মাথায় যেন থাকে এটি একটি আইনানুগ দেশ। বাংলাদেশের যতো বেআইনি অভ্যাস তা যে যতো দ্রুত ত্যাগ করতে পারবে সে এখানে মানিয়ে নিতে পারে দ্রুত। কোনো অবস্থাতে করোনায় আক্রান্ত হওয়া যাবে না। গুডলাক প্রিয় প্রজন্ম। লেখক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :