যশোর প্রতিনিধি: [২] মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যশোর মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্রকে পুলিশ নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। চিকিৎসাধীনদের পরিবাবের কাছে হস্তান্তর করার পর এটা সিলগালা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[৩] নিহত যুবক মাহফুজুর রহমান হত্যাকান্ডে মালিকসহ ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী আটক হওয়ার পরে মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে সম্পূর্ণ পুলিশ নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে কেন্দ্রটি।
[৪] চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রকিুবুজ্জামান জানান, বর্তমানে যশোর মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্র যশোর সদর থানার চাঁচড়া ফাঁড়ি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
[৫] ‘আমাদের ফাঁড়ি থেকে পালাক্রমে সেখানে পুলিশ ডিউটি করছে। বর্তমানে এখানে যারা ভর্তি আমরা শীঘ্রই তাদের অভিভাবকদের ফোন করে এদেরকে অন্যত্র বা বাড়িতে নিয়ে যেতে বলবো।
‘ভিতরে ক্রাইম সিনসহ নানা আলামত থাকায় আমরা কাউকে ভিতরে যেতে দিচ্ছি না।’
[৬] যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাহাউদ্দিন বলেন, ‘কেন্দ্রটি বর্তমানে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আছে। চলমান মামলার উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রটিকে বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে বর্তমানে ১৬ জন ভর্তি আছেন। তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে, না হয় বাড়িতে ফেরত পাঠানো হবে। তারপর সিলগালা করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
[৭] মাদকাসক্তি নিরাময় ও পূর্নবাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন মাহাফুজুর রহমানকে প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের নির্দেশে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত মাহাফুজুর রহমানের পিতা চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার নারায়নপুর মোড়ের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে রোববার ২৩ মে দুপুরে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের পরচিালক মাসুদ করিম, ও আশরাফুল কবিরসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
[৮] পুলিশ ২৩ মে অভিযান চালিয়ে মামলার ১৪ জন আসামিকে আটক করে। ২৪ মে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা চাঁচড়া ফাড়ির আইসি ১৪ জন আসামিকে আদালতে চালান দেয়।
এরমধ্যে চৌগাছা উপজেলার বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে রিয়াদ, মনিহার নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ মিয়াজীর ছেলে রেজাউল করিম রানা ও ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সাবদার রহমানের ছেলে শাহিনুর রহমান এই তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি দেয়। আর বাকি ১১ জনকে রিমান্ডের আবেদন করে। আগামি ২৭ মে রিমান্ডের শুনানি হবে।
আপনার মতামত লিখুন :