মাসুদ আলম: [২] মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় উল্লিখিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের পরকীয়া প্রেমিকা গায়ত্রী অমর শিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনএইচসিআর) চিঠি দিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
[৩] মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্রগ্রাম পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, রোববার ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বরাবর চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। বাবুল আক্তারকে গায়ত্রীর দেওয়া দুটি বইয়ের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর জন্য শিগগিরই আদালতে আবেদন করা হবে। এছাড়া মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
[৫] মোশাররফ হোসেন বলেন, বাবুল ও মিতুর দুই সন্তানের এখনো সন্ধান মেলিনি। ১৯ মে দুই সন্তানের সন্ধান ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ঢাকা মহানগর আদালতে মামলা করেন তিনি। গায়েত্রীসহ একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়া ছিল বাবুলের। মিতুর মৃত্যুর পর একাধিক বিয়েও করেন বাবুল। পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় মিতুকে প্রায়ই মারধর করতো বাবুল। তাই মিতুকে হত্যার পরিকল্পনা করে বাবুল। মৃত্যুর আগে ৪ বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো মিতু। মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারসহ ৪ আসামি কারাগারে রয়েছে।
[৬] মিতুর বাবা দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে- গায়েত্রী সঙ্গে বাবুল আক্তারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গায়েত্রী তখন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের ফিল্ড অফিসার হিসেবে কক্সবাজারে কর্মরত ছিলেন। আর বাবুল আক্তার তখন কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখনই তার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পর্ক হয়। পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বাবুলের স্ত্রী মিতু। ২০১৪ সালে বাবুল সুদানে জাতিসংঘের মিশনে যান। তখন তার বাসায় দুটি বই উপহার পাঠান গায়েত্রী। এছাড়া বাংলাদেশে রেখে যাওয়া বাবুলের মোবাইলে ২৯টি মেসেজও পাঠান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :