অনন্যা আফরিন: [২] বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ব্যবহার হতে পারে কুকুর। এক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন হবে না। ‘লন্ডন স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন’-এর জীববিজ্ঞানীরা এমনই দাবি করেছেন। জীববিজ্ঞানীদের দাবি, প্রায় ৮২ থেকে ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই গন্ধ শুঁকেই করোনা আক্রান্ত বলে দিতে পারছে কুকুর। এমনকি যে সকল মানুষদের উপসর্গ নেই তাদেরও সহজেই চিহ্নিত করতে পারছে কুকুর।
[৩] কুকুরকে রোগ শনাক্তের কাজে ব্যবহার করা নতুন কিছু নয়। অতীতে ক্যানসার, ম্যালেরিয়ার মতো অন্যান্য অসুখ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও কুকুর ব্যবহার হয়েছে। সেই সব অসুখ আক্রান্তদের শনাক্ত করতে সফল হয়েছে কুকুর। গত বছর থেকে করোনা শনাক্ত করার জন্য কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়।
[৪] ইংল্যান্ডের ওই জীববিজ্ঞানীরা ৬টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের সামনে ২০০ জন ব্যক্তির ব্যবহৃত মোজা রাখেন। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে যারা করোনা আক্রান্ত তাদের সহজেই চিহ্নিত করে কুকুরের দলটি। গবেষক দলের ক্লেয়ার গেস্ট জানিয়েছেন, কুকুরের ঘ্রাণশক্তি এতটাই তীক্ষ্ণ যে তারা করোনার উপস্থিতি সহজেই বুঝতে পারে। ঠিকমত প্রশিক্ষণ দেয়া গেলে এ কাজে সফল হওয়া সম্ভব।
[৫] করোনা পরীক্ষায় কুকুরকে সফলভাবে কাজে লাগানো গেলে বেশ কিছু সুবিধা হবে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। সুবিধাগুলো হলো- বিমানবন্দর দিয়ে অসংখ্য মানুষ প্রবেশ করে। এদের অনেকের করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
[৬] এক্ষেত্রে কুকুর যদি সফলভাবে করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করতে পারেন তাহলে সময় বাঁচবে।গবেষক দলের প্রতিনিধি জেমস লোগান জানিয়েছেন, অন্য সকল উপায়ের থেকে করোনা পরীক্ষায় কুকুর দ্রুত কাজ করতে পারে। এতে আগামীতে যদি কুকুরকে ব্যবহার করা যায় তাহলে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে।আনন্দবাজার
আপনার মতামত লিখুন :