শিরোনাম
◈ ফেব্রুয়া‌রির নির্বাচ‌নে জামায়াতে ইসলামী‌কে দিল্লি কোন চোখে দেখবে? ◈ ইসরায়েল খেললে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট কর‌বে স্পেন ◈ এ‌শিয়া কা‌পে রা‌তে শ্রীলঙ্কা - আফগা‌নিস্তান মু‌খোমু‌খি, লঙ্কান‌দের জয় দেখার অ‌পেক্ষায় বাংলাদেশ  ◈ আওয়মী লীগ বিহীন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে এখন যে সব চিন্তাভাবনা  ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, চেলসিকে হা‌রি‌য়ে বায়ার্ন মিউ‌নি‌খের শুভ সূচনা ◈ কিশোরগঞ্জ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ উঠিয়ে দিন, না হলে ভিন্ন পথ নেবো, জানালেন ফজলুর রহমান ◈ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা ◈ হ‌্যান্ড‌শেক না করায় অপরাধ হিসা‌বে ভারতের ম‌্যাচ ফি ৫০ ভাগ একং ২‌টি ডি‌মে‌রিট প‌য়েন্ট জ‌রিমানা হ‌তে পা‌রে ◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২১, ০৬:২৯ বিকাল
আপডেট : ২৪ মে, ২০২১, ০৬:২৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে মালিকের কাছে টাকা দাবি করতো চক্রটি

সুজন কৈরী: [২] ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ডেমরা ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পিকআপ ভ্যান ও মিনি ট্রাক চুরি চক্রের মূলহোতাসহ ৪ সদস্য গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তার চারজন হলেন- সোহেল (২৭), রুবেল (৩০), মনির হোসেন (৪০) ও আজিজুল (২৩)। তাদের কাছ থেকে চোরাই তিনটি পিকআপসহ গাড়ি চুরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

[৩] সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, নারয়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঢাকার ডেমরা এলাকায় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে মিনি ট্রাক ও পিকআপ চুরি করছিলো। চক্রের সদস্যরা এতোই চালাক যে, সহজে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তারা বিভিন্ন সময় গাড়ি চুরি করার জন্য ওঁৎ পেতে থাকতো। যখন কোনো চালক গাড়ি রেখে হোটেলে খেতে যেতেন তখন তারা মাস্টার কি ব্যবহার করে ইঞ্জিন চালু করে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যেত।

[৪] তিনি বলেন, চক্রটি গাড়ি চালকদের চুরির জন্য মোটিভেশন করতো। এজন্য চালকদের দেওয়া হতো লোভনীয় প্রস্তাব। মূলত চালকদের হাত করেই চক্রটি পিকআপ ভ্যান চুরি করছিলো।

[৫] কামরুল আহসান বলেন, চুরির পর গাড়ির গায়ে বা ডকুমেন্ট থেকে মালিকের মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করে বিকাশে টাকা দাবি করতো চক্রটি। বিকাশে টাকা পাঠালে গাড়ি ফেরত দিতো। অনেক সময় টাকা নিয়ে গাড়ি ফেরত না দিয়ে আবারও গাড়ি ফেরত পাওয়ার জন্য আরও টাকা দাবি করতো। পরে চক্রটি গাড়িগুলোকে তাদের নিজস্ব গ্যারেজে নিয়ে বিভিন্ন অংশ খুলে বা পরিবর্তন করে রেখে দিতো। এতে মূল মালিক খোঁজাখুজি করেও তাদের গাড়িগুলিকে শনাক্ত করতে পারতেন না। অনেক সময় চক্রটি চুরি করা গাড়ির পার্টস খুলে অন্যত্র বিক্রি করতো।

[৭] তিনি জানান, এমন একটি অভিযোগ পেয়ে সিআইডির সাইবার সাইবার ইনভেস্টিগেশন এন্ড অপারেশন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। শনাক্তের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[৮] চক্রটি করোনাকালে ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি চুরি করেছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি চোরাই পিকআপ ভ্যান, ৯টি মোবাইল ফোনসেট, ১৪টি মোবাইল সিম কার্ড, একটি মাস্টার চাবি, প্লাস, স্টিল রেঞ্জ, রেত, হেক্সো ব্লেড উদ্ধার করা হয়। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে সিআইডির অভিযান চলছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়