আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ইয়াস নামটির অর্থ হতাশা। ফার্সি ভাষায় এই নামকরণ করেছে ওমান।
[৩] এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে নর্থ ইন্ডিয়ান ওশেন ট্রপিকাল সাইক্লোন সেন্টার। উত্তর ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী সকল দেশ ১০টি করে নাম দিয়ে থাকে। ধারাবাহিকভাবে এই নামগুলো ব্যবহার করা হয়।
[৪] হিন্দি শব্দ ইয়াস এর বাংলা উচ্চারণ হয় যশ। সে হিসেবে বাংলাদেশের অনেকের মতো আমরাও এই শব্দটি ব্যবহার করছিলাম। কিন্তু এটি ফার্সি শব্দ, হিন্দি নয়। তাই আমরা মূল শব্দ ইয়াস অবিকৃতভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
[৫] চলতি মৌসুমে দুটি ঘূর্ণিঝড় ও একটি নিম্নচাপ জন্ম নিয়েছে উত্তর ভারত মহাসাগরে। ২ ও ৩ এপ্রিল আন্দামানের কাছে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেয় বিওবি০১ নামে একটি নিম্নচাপ। এরপর ১৪ থেকে ১৯ মে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তকতে ভারতের পশ্চিম উপকূলে তাণ্ডব চালায়। আর ২৩ মে আন্দামানের কাছে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিয়েছে ইয়াস।
[৬] এই অঞ্চলে পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে গুলাব। এটি পাকিস্তানের দেওয়া নাম। এটি বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরে আঘাত হানবে। এরপর যথাক্রমে আসবে শাহিন (কাতার), জাওয়াদ সৌদি আরব), অশনি (শ্রীলঙ্কা). সিতরাং (থাইল্যান্ড), মানডৌস (সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মোচা (ইয়ামেন)। সব মিলিয়ে এখন বাকি আছে ১৬৯টি নাম।
[৭] ২০২০ সালে এই অঞ্চলে ঝড় হয়েছে ৯টি। এরমধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলো আম্ফান। এতে মারা যান ২৫৮জন। বাংলাদেশ ও ভারতের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিলো ১৫.৬ বিলিয়ন ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :