সুজন কৈরী: [২] এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ৪টি জরিপ টিম গঠন করেছে। এই টিম রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন বিপনীবিতান, শপিংমল, কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ভ্যাট সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহ করবে। জরিপ দলের কর্মকর্তারা নির্ধারিত ফর্মে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং যাচাই করে প্রতিবেদন দিবে।
[৩] সোমবার এই ৪টি টিম ঢাকার চারটি ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম) আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে এই জরিপ করেছে।
[৪] ভ্যাট গোয়েন্দা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংস্থার সহকারী পরিচালক মালেকিন নাসিরের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ার, উপপরিচালক তানভীর আহমেদের ধানমন্ডির সানরাইজ প্লাজা ও অর্কিড প্লাজা, সহকারী পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালিনের নেতৃত্বে গুলশান-১ এর নাভানা টাওয়ার ও বারিধারার অনন্যা মার্কেট এবং সহকারী পরিচালক মাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে রূপগঞ্জ ব্রীজ সংলগ্ন হাজী হোসেন প্লাজা মার্কেট পরিদর্শন করেছে। তারা নির্ধারিত ফর্মে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করেছে। পরে যাচাই করে প্রতিবেদন দিবে।
[৫] ভ্যাট সংক্রান্ত এসব তথ্যে সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে- ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধন সনদ দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শিত আছে কিনা, বিক্রিত পণ্য বা সেবার প্রকৃতি, টিন, দোকানের আয়তন ও ভাড়া, কর্মচারীর সংখ্যা ও তাদের আনুমানিক বেতন, মাসিক গড়ে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ভ্যাট রিটার্ন দিয়েছে কিনা এবং মাসভিত্তিক ভ্যাটের পরিমাণ।
[৬] মাঠপর্যায়ের এসব তথ্য সংগ্রহের পর স্থানীয় ভ্যাট অফিস এবং ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমের সাথে যাচাই করে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
[৭] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সার্ভের মাধ্যমে যারা ভ্যাটের আওতাভুক্ত নেই তাদের আইনের আওতায় উদ্বুদ্ধ করা হবে। একইসঙ্গে সঠিক পরিমাণ ভ্যাট নিয়মিতভাবে সরকারি কোষাগার জমা দিতে নিবন্ধিতদের আইনের বিধান সম্পর্কে অবহিত করা হবে। এই সার্ভে করার সময় সংশ্লিষ্ট মার্কেট সমিতির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
[৮] ভ্যাট আইন অনুযায়ী ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে প্রতিটি পণ্য বা সেবা বিক্রির সময়ে ক্রেতাকে যথাযথভাবে মূসক-৬.৩ এ চালান দেওয়া এবং ক্রেতার কাছ থেকে কর্তন করা ভ্যাট মাস শেষে ১৫ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে রিটার্ন দেওয়ার বিধান রয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তদন্তের মাধ্যমে ফাঁকিকৃত ভ্যাট, জরিমানা ও সুদসহ আদায় করা হচ্ছে।
[৯] ভ্যাট গোয়েন্দার দল বিভিন্ন সময় মাঠে কাজ করছে এবং কোনও অভিযোগ আসলে তা অনুসন্ধানপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই কার্যক্রম দেশে ভ্যাট সংক্রান্ত করবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আশা করছে এনবিআরের অধীনস্থ সংস্থা ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
আপনার মতামত লিখুন :