সোহেল রানা ডালিম: চুয়াডাঙ্গার মেছেরদাড়ি গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৬ টি পরিবারের ১০ টি ঘর পুড়ে ছায় হয়ে গিয়েছে। আগুনে ঘরে রাখা নগদ টাকা গৃহপালিত পশুসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ছায় হয়ে গিয়েছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডে সব মিলে ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার বিকেলে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
গ্রামের লোকজন জানান, বিকেলে গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ইছান আলীর বাড়ির রান্না ঘরে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে তার বসত ঘরে। এতে তার ঘরে থাকা ভূট্টা বিক্রির নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ ঘরের আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে যায়।
ইছান আলীর ঘরে লাগা আগুন তার পার্শ্ববর্তী কৃষক তাইজেল ইসলামের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। একে একে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তার ছেলে রুবেল হোসেন, প্রতিবেশী বাবুর আলী, জানারুল ইসলাম ও জুলহাস হোসেনের বাড়িতে। আগুনে পুড়ে যায় কৃষক জুলহাস হোসেনের দুটি গরু। প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বাড়ির মালিকরা। খবর দেওয়া হয় পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সেকে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটা ইউনিট। দুই ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয় তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক তাইজেল ইসলাম জানান, আলমসাধু কেনার জন্য ঘরে রাখা গরু বিক্রির নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিল, ৪০ মন ধান, চাল, ভ্ট্টূাসহ খাবার জিনিসসহ ঘরের সব আসবাবপত্র পুড়ে ছায় হয়ে গিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ফয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার জুয়েল রানা জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটা ইউনিট। প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তরা। তিনি আরও জানান, ইছানের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি অনুমান করেন।
এ ঘটনায় সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান।
আপনার মতামত লিখুন :