আনিস তপন: শনিবার (২২মে) ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও অন্যান্য সংকটাপন্ন বাস্তুসংস্থান সংক্রান্ত পরামর্শমূলক কর্মশালায়’ ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি সামগ্রিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। অতিরিক্ত সচিব ( উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) মো. মনিরুজ্জামান, প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং জীববৈচিত্র্য বিষয়ক জাতিসংঘ কনভেনশনের নির্বাহী সেক্রেটারি এলিজাবেথ মারুমা ম্রেমার ভিডিও বার্তাও উপস্থাপন করা হয়।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ২০২১ থেকে ২০৩০ কে বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দশক হিসাবে ঘোষণা করেছে। বিপর্যয় ও মহামারী রোধে প্রকৃতির প্রতি অবিচার বন্ধ করার এখনই সময়।
আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসের এবারের স্লোগান ‘We are part of the solutions, #ForNature’ মানব সভ্যতা ধ্বংস বন্ধের লক্ষ্যে বাস্তুসংস্থার পুনরুদ্ধারে কাজ করার বার্তা প্রদান করে।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকারী উদ্যোগের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত জাতীয় কমিটি হালদা নদীকে জীববৈচিত্র্য ঐতিহ্য হিসাবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এলক্ষ্যে দেশের মোট স্থল ও অভ্যন্তরীণ জলভাগের পাঁচ শতাংশেরও বেশি সংক্ষিত অঞ্চল এবং পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের প্রায় ৫ শতাংশ এলাকা সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষিত হয়েছে।
বেঙ্গল টাইগার, বাটাগুর বাসকা,লোনাপানির কুমির, শকুন, ঘড়িয়াল এবং গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রজাতি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের মূল্যবান কৃষি-জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য জিন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন ২০১৭ প্রণয়ন করেছে । জাতীয় জীববৈচিত্র্য স্ট্রাটেজি এবং অ্যাকশন প্ল্যান ২০১৬-২০২১ নেয়া হয়েছে।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এসডিজি ১২, ১৪ এবং ১৫ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে এসডিজি অ্যাকশন প্লান বাস্তবায়ন করছে।
সরকার বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্যও বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছে।