লিহান লিমা: [২] যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক অফিস (এফসিডিও) বৈদেশিক ত্রাণের পরিমাণ ৪৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড থেকে ২৭.৬ মিলিয়ন পাউন্ডে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। মানবিক খাতে বৈদেশিক অনুদান ৪০ শতাংশ ছাঁটকাট করায় দেশটির ওপর বাংলাদেশে আশ্রয়রত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পরিত্যাগ করার অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। দ্য গার্ডিয়ান
[৩] সেভ দ্য চিলল্ড্রেন এর নির্বাহী পরিচালক ক্রিস্তি ম্যাকনেইল বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের সবচেয়ে অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। যুক্তরাজ্যের যে মুহুর্তে এগিয়ে আসা উচিত সে মুহুর্তে তারা পিছিয়ে দাঁড়িয়েছে।’ ম্যাকনেইল বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদশের জনাকীর্ণ আশ্রয় শিবিরে করোনার ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে। বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম এই শরণার্থী শিবিরে এক বছরেই ৮০ বারের মতো আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ’
[৪] বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশনের সভাপতি তুন কেইন বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব ছাড়ার সময় এখন নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের বৈদেশিক ত্রাণ ছাঁটকাটের একটি বড় অংশের প্রভাব পড়বে রোহিঙ্গা শিশুদের ওপর। শিবিরে থাকা এই শিশুদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত, তারা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত, আগামী ১০ বছর পর আমরা একটি হারানো প্রজন্ম দেখতে পাবো।’
[৫] বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে এর কর্মকর্তা কেইন ভাল্টারসন বলেন, ‘ডমিনিক রাবের কাজের সঙ্গে কথার কোনো মিল নেই। তিনি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ও বিক্ষোভকারীদের সমর্থনের বিবৃতি দেন কিন্তু তাদের সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডমিনিক রাব মিয়ানমারের দরিদ্র জনগণকে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
[৬] ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ধর-পাকড়ের পর রোহিঙ্গাদের জন্য ১২৯ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার ঘোষণা দেয় ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু প্রতিবছরই এই ত্রাণে ছাঁটকাট করা হয়।
[৭] এদিকে এফসিডিও বলেছে, যুক্তরাজ্য প্রতিবছর দারিদ্রতা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক সংকট ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্যে ১০ বিলিয়নের বেশি পাউন্ড খরচ করে। ২০১৭ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গাদের জন্য ৩২১ মিলিয়ন পাউন্ড অনুদান দিয়েছে এবং বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটে বৃহত্তর দাতা দেশের স্থান ধরে রেখেছে।’
আপনার মতামত লিখুন :