মাসুদ আলম: [২] রাজধানীর পল্লবীতে চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দীন হত্যা মামলায় শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এম এ আউয়াল লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ।
[৩] বুধবার রাতে ভৈরব থেকে এম এ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ মামলায় একই দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন মেয়াদে তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই তিনজন হলেন- মো. সুমন বেপারী, মো. রকি তালুকদার ও মুরাদ।
[৪] গত ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে নিজ সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দীনকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি ও রামদাসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ওই ঘটনায় ১৭ মে নিহতের মা মোসা. আকলিমা রাজধানীর পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। সাহিনুদ্দিনকে হত্যার নির্মম দৃশ্য ধরা ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়- দুই তরুণ দুই পাশ থেকে সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন।
[৫] মামলায় নিহতের মা আকলিমা অভিযোগ করেছেন, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভলপার লিমিটেডের এমডি এবং লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দীনকে হত্যা করেছে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়। মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়াল। অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুমন, মো. আবু তাহের, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, মরন আলী, লিটন, আবুল, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, নাটা সুমন ও ইয়াবা বাবু।
আপনার মতামত লিখুন :