জবি প্রতিনিধি: [২] পেশাগত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তার নিন্দা জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে নিন্দা জানানো হয়।
[৩] প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গোপনে সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ- এর একান্ত সচিবের কক্ষে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তুলছিলেন।কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর নথি সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষ যেখানে সাধারণত অপেক্ষমান দর্শনার্থীরা অবস্থান করেন, সেখানে ফেলে রাখা দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার শামিল।
[৪] প্রশ্ন জাগে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর গোপনীয় নথি তারা কিভাবে অনিরাপদে রাখলেন? ফলে স্পষ্টত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ হয় দায়িত্বে অবহেলা করেছেন অথবা তাদের উথ্বাপিত দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে জনমনে ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া একজন সাংবাদিক কোন অন্যায় করলে তাকে তাৎক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ না করে প্রায় ০৬ ঘন্টা মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে আবদ্ধ রেখে নির্যাতন করা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবাদলিপিতে।
[৫] পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় দায়ী ব্যাক্তিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা ও একই সাথে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম-কে আইনগত সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :