জেরিন আহমেদ: [২] বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের কাছে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
[৩] সংস্কৃতিতে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন প্রখ্যাত সুরকার-গীতিকার-সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, প্রযোজক-পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও নাট্যজন আতাউর রহমান।
[৪] গাজী মাজহারুল আনোয়ার প্রায় ২০ হাজার গান রচনা করেছেন। স্বাধীনতা, দেশপ্রেম থেকে শুরু করে আধুনিক গানে তার অবদান অপরিসীম। তার লেখা কালজয়ী গানের মধ্যে অন্যতম ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’। গানটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রেরণাদায়ক গান হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল। বিবিসি বাংলার তৈরি করা করা শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় জয় বাংলা, বাংলার জয় গানটি ১৩তম স্থান লাভ করেছে। তিনি ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
[৫] আতাউর রহমান একাধারে টেলিভিশন অভিনেতা, মঞ্চ নির্দেশক এবং লেখক। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী মঞ্চনাটক আন্দোলনের অগ্রদূত। মঞ্চনাটকে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০১ সালে একুশে পদককে ভূষিত করে।
[৬] স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এবার প্রয়াত আহসানউল্লাহ মাস্টার ও প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সঙ্গে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম বজলুর রহমান, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ।
[৭] বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী, সমাজসেবা বা জনসেবায় পুরস্কার পান অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন। গবেষণা ও প্রশিক্ষণে প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।
[৮] স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। সূত্র: সময় টিভি, বিডি নিউজ