শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২১, ০৭:৪৯ সকাল
আপডেট : ২০ মে, ২০২১, ০৭:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালিপায়ের বিলিওনিয়ার শিক্ষক!!!

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি গ্রাম। নিকটতম শহর থেকে ২০/৩০ কিমি দূরে। আপনি যখন সেখানে পৌছাবেন ততক্ষণে গ্রামের স্কুলের ক্লাস ছুটি হয়েছে। আপনার কাঙ্খিত ভদ্রলোককে আপনি হয়তো স্কুলের সামনে ক্ষেতের মধ্যে পাবেন। আপনার ডাক শুনে সাইকেলওয়ালা ভদ্রলোক দাঁড়াবেন। উনি গ্রামের স্কুলে গণিত আর বিজ্ঞান পড়ান। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের এই নতুন শিক্ষককে পছন্দ করে কারণ তার পড়ানোর স্টাইলটা ভিন্ন।

আপনি তাকে ধুতি আর শার্ট পড়া দেখে মনে মনে খুশি হবেন কারণ আপনি শুনে এসেছেন ওনার প্রিয় পোষাক হচ্ছে টি-শার্ট, জিনস ও স্যান্ডেল। তবে অনেক সময় থাকেন খালি পায়ে। ইনফ্যাক্ট তাকে জুতা পড়া কেউ দেখেছে কিনা সেটা বলা মুশ্কিল।
ভদ্রলোকের সোজা কথা –“I live fairly simply, I hate wearing shoes. If I can avoid it, I do,”
এই নাঙ্গাপায়ের ভদ্রলোক একটি নতুন মিশন নিয়ে নেমেছেন। আমার মনে হয় ভদ্রলোকের পরিচয় আমি দিয়ে দিতে পারি এ বেলায়। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাবে ভদ্রলোকের সম্পদের পরিমান মাত্র ১৬০ কোটি ডলার। ভদ্রলোকের নাম শ্রীধর ভেম্বু। নাঙ্গাপায়ের বিলিওনিয়ার!!!

তামিলনাড়ু গ্রামের এক্সপেরিমেন্টের আগে বরং আমরা তাঁর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেই। চেন্নাই হাইকোর্টের স্টেনোগ্রাফার বাবা ও গৃহবধু মা’র সন্তান শ্রীধর। জন্ম ১৯৬৭ সালে। সরকারি প্রাইমারি স্কুলে পড়ালেখা শুরু করে শ্রীধর শেষ পর্যন্ত পৌঁছান আইআইটি মাদ্রাজে। সেখান থেকে এমএস আর পিএইচডি করার জন্য আইনস্টাইনের ইউনিভার্সিটি প্রিন্সটনে। সেখান থেকে পিএইচডি করে বের হলেন ১৯৯৪ সালে। লেকচারারের অফার পেলেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ক্যানবেরায়। কিন্তু চাকরি নিলেন কোয়ালকমে। স্যান ডিয়াগোতে। সেখানে তড়িৎকোশলী হিসেবে তাঁর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ওয়্যারলেস যোগাযোগ, সিডিএমএ ও পাওয়ার কন্ট্রোল।

দুই বছর পরে, চেন্নাই-এর শহরতলীর একটি এপার্টমেন্টে টনি টমাসের সঙ্গে মিলে একটি ছোট্ট সফটওয়্যার কোম্পানি চালু করেন। নাম দিলেন ভেম্বু সফটওয়্যার। টনির নেটওয়ার্কিং এ কিছু কাজ ছিল আর ছিল ব্যবস্থাপনায় কিছু অভিজ্ঞতা। এডভেন্ট নেট নামেই ভেম্বু সফটওয়্যার কোম্পানি ২০০৩ সাল পর্যন্ত চালু থাকে।
এরপর ২০০৫ সালে কোম্পালি ZOHO নামের সিআরএম সফটওয়্যার লঞ্চ করেন। ২০০৯ সালে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে জোহো কর্পোরেশন করা হয়। শ্রীধর ও তার ফ্যামিলি জোহো কর্পোরেশনের ৮৮%-এর মালিক যার পরিমাণ ১.৬ বিলিয়ন ডলার। জোহোর টার্নওভার বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
শ্রীধরের এই বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির পিছনে রয়েছে খুব সাধারণ কিন্তু মারাত্মক একটা চিন্তা।

সূত্র-সংগ্রহিত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়