মোস্তফা কামাল পাশা: গতকাল মঙ্গলবার কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে সারা দেশে ইতিমধ্যেই ১৮ জন (সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদ অনুসারে) জনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলে ম্যাসেজে উপরোক্ত মৃত্যুসংবাদ পাঠিয়েছে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন। রাডার থেকে প্রাপ্ত ছবির সময়টি লক্ষ করুন সকাল ১১ বেজে ১৭ মিনিটে আমি কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্র সহ শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছি।
ফেসবুকে মিনিটে-মিনিটে আপডেট দিয়ে আমার একার পক্ষে তো দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব না দেশের গণমাধ্যম ও আবহাওয়া বিভাগের সহযোগিতা না পেলে। যেমন আজকেও ঘুমাতে গেছি কানাডার সময় সকাল ৬ টায় (সূর্য উঠে সকাল ৫ টায়) শুধু মাত্র দেশের মানুষকে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতের সংবাদ দেওয়ার জন্য।
গতকাল নেত্রকোনায় বজ্রপাত শুরু হওয়ার ২ ঘণ্টা পূর্বে দুপুর ১২ টায় পূর্বাভাষ দিয়ে বলেছি "দুপুর ১ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলো ও ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী এবং দুপুর ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্র সহ শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।" নির্দিষ্ট করে বলেছি কোথায় বজ্রপাত হচ্ছে ও কোন দিকে যেতে পারে আগামী কয়েক ঘণ্টায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে এত নির্দিষ্ট করে ও নিখুঁত ভাবে কেউ কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতের পূর্বাভাষ দিতে পারে নি বা দেয় নি এই কথাটা আমি হলফ করে দাবি করতে পারি। দেশের মানুষের প্রাণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি এই মৌসুমে শুরু থেকে। গণমাধ্যমগুলো যদি আমার এই সংবাদ প্রচারে এগিয়ে আসে তবে বজ্রপাতে মৃত্যুর এই সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব অনেকটাই। লেখক কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। ফেইসবুক স্টাটাস থেকে নেয়া।
আপনার মতামত লিখুন :