সমীরণ রায়: [২] অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) পাঠানো আদেশে বলা হয়েছে, শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সঞ্চয় ব্যুরো থেকে কেনা যাবে।
[৩] এতে বলা হয়, সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ এর বিধি ৫ এর উপবিধি ৫ ও ৬ অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে উক্ত বিধিমালার বিধি-৩ এ যাই থাকুক না কেন ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ শুধু মাত্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘সঞ্চয় ব্যুরো’ কর্তৃক পরিচালিত হবে।
[৪] বুধবার থেকে কোনো বিনিয়োগকারী যদি পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, তাহলে শুধু সঞ্চয় অধিদপ্তরের শাখা অফিসগুলোতে যেতে হবে। বর্তমানে সারা দেশে ৭০টির বেশি এমন সঞ্চয় ব্যুরো আছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের বাকি তিনটি সঞ্চয়পত্র পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র নিয়ম অনুযায়ী আগের মতো ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে কেনা যাবে। একজন বিনিয়োগকারী একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।
[৫] সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফা নিতে চাইলে মুনাফার হার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে।
[৬] কোনো প্রতিষ্ঠান যদি এ সঞ্চয়পত্র কেনে, তাহলে কতো টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে, এর কোনো সীমা নেই। প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলের অনুকূলেও এ সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
[৭] মঙ্গলবার আইআরডি’র সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসুর পাঠানো আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।