কামরুল হাসান মামুন: এই রাষ্ট্রে বড় বড় চোর ডাকাত দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতিনিরোধ ভ্যাকসিন দেওয়া আছে। তাদের ধরা যাবে না। ফাইল কি গোপনীয় কিছু? ওই ফাইল কি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ফাইল? কী ছিলো ওই ফাইলে যার ছবি তোলার কারণে স্বয়ং সচিবের পাশের রুমে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ৬ ঘণ্টা আটকে রাখলো? কোন আইনে তাকে এইরকম আটকে রেখে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনসহ সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করল? ওই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের যেই কর্মকর্তারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রোজিনা ইসলাম কোন নথির খবর বের করতে চেয়েছিলেন বলে কর্তারা এতো ক্ষিপ্ত?
সেই ফাইলটাই এখন খোঁজা দরকার। নিশ্চই যেই ফাইলের কারণে এতোসব ঘটে গেলো সেই ফাইলে এমন কিছু দুর্নীতির চিহ্ন ছিল যা তাদের উলঙ্গ করে দেওয়ার সম্ভবনা ছিলো। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কী? অনুসন্ধানী রিপোর্টিং মানেই হলো গোপনে এসব খবর বের করা, প্রমাণের জন্য ছবি তোলা। সাংবাদিক রোজিনা কেবল তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। আর কিছু হলেই ডিজিটাল আইনে মামলা? হায়রে সাধের খাউজানি! খুব মজা হ্যাঁ? এই আইন যেন তরকারির আলুর মতো সব কিছুতেই ভরে দেওয়া যায়। এখন সময় এসেছে এই ডিজিটাল এবং কলোনিয়াল অফিসিয়াল সিক্রেট আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :