ইমরুল শাহেদ: এটি নির্মাণ করেছেন ফাহিম ফয়সাল। ‘কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করুন, মেধাসম্পদ সংরক্ষণ করুন’ - এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে কপিরাইট সচেতনতায় নির্মিত হয়েছে এই ডকুমেন্টারিটি। সংগীতকর্ম, নাট্যকর্ম, চলচ্চিত্রকর্ম, সাহিত্যকর্ম, ফটোগ্রাফ, স্কেচ, কম্পিউটার-সফটওয়্যারকর্ম, কম্পিউটার গেইম, ডাটাবেইজ, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মসহ সৃজনশীল অঙ্গনের বিভিন্ন শাখায় চলমান দীর্ঘদিনের বহু সমস্যা ও মতানৈক্যের সমাধান এবং সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ডকুমেন্টারিটি নির্মিত হয়েছে। ২ পর্বের এই ডকুমেন্টারিটি নির্মাণ করেছেন সংগীতশিল্পী ও কপিরাইট গবেষক ফাহিম ফয়সাল। এটি সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে।
এই বিষয়ে ফাহিম ফয়সাল বলেন, সৃজনশীল অঙ্গনের প্রত্যেকেরই উচিত যার যার সৃজনশীল কর্মটির কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করে রাখা। কারণ, কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের গুরুত্ব হচ্ছে - সৃজনশীল ব্যক্তি তার সৃজিত কর্মটিকে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি বেদখল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে চাইলে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করার কোন বিকল্প নেই। এতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় জায়গাতেই প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য রয়্যালিটি-এর সুবিধা ভোগ করতে চাইলে তাকে অবশ্যই কর্মটির কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য করলে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নির্মাতা বলেন, ‘কপিরাইট নিয়ে আমার দীর্ঘদিনের গবেষণা ও অভিজ্ঞতার আলোকে এই ডকুমেন্টারিটি নির্মাণে আমাকে সার্বিকভাবে সহায়তা ও পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের বর্তমান রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস জাফর রাজা চৌধুরী। আমি তার কাছে ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের সকলের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ, উনাদের সহায়তা ছাড়া এটি নির্মাণ করা প্রায় অসম্ভব ছিলো। আমার বিশ্বাস, ২ পর্বের এই ডকুমেন্টারিটি দেখে সৃজনশীল অঙ্গনের সকলেই কপিরাইট বিষয়ে সচেতনতা লাভের পাশাপাশি নিজস্ব সৃজনশীল কর্মের কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করতে উদ্বুদ্ধ হবেন।’
আপনার মতামত লিখুন :