তাপসী রাবেয়া: [২] ‘বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা: ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই মূল্যায়ন করে বলা হয়েছে, ‘সংবিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। কিন্তু এখানে মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সমুন্নত রাখা হয়েছে। এর ফলে ধর্মীয় বৈষম্যের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে।
[৩] রোববার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি বিøনকেনের একটি মন্তব্য রয়েছে এতে। এতে বলা হয়, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার। প্রকৃতপক্ষে, মানবসত্তার মূলে রয়েছে স্বাধীনভাবে চিন্তা করা, চেতনাকে অনুসরণ করা, হৃদয় ও মন চাইলে আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে পরিবর্তন আনা এবং সেই বিশ্বাসগুলোকে জনসমক্ষে ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রকাশ করার অধিকার।’
[৪] বাংলাদেশের জন্মের পর সংবিধানে রাষ্ট্রের পরিচয় হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা উল্লেখ করা হয়। সে সময় রাষ্ট্রীয় চার মূল নীতির একটি ছিল এটি। মুক্তিযুদ্ধের পর পর ধর্মীয় পরিচয়ে রাজনৈতিক দল গঠনও ছিল নিষিদ্ধ।
[৫] বাংলাদেশে ধর্মীয় খাতে গত বছর ঘটে যাওয়া ঘটনার ওপর প্রণয়ন করা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে একজন হিন্দু পুরোহিতকে হত্যার দায়ে সহিংস চরমপন্থী গোষ্ঠী জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) চারজন সদস্যকে অভিযুক্ত করে মৃত্যুদÐ দিয়েছে বাংলাদেশ দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল। উগ্রপন্থা প্রতিরোধে সরকার পুরো বছরই মসজিদের ইমামদের নির্দেশনা দিয়েছে। এ সময়ে মসজিদ থেকে কোনো উস্কানি দেয়া হচ্ছে কি না তা নজরদারিতে রাখা হয়।
[৬] প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিলো, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বলেছেন, জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও বিরোধপূর্ণ জমি দখল বন্ধে সরকারি কার্যক্রম অকার্যকর ছিল।
[৭] গত বছরের অক্টোবরে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ হয় যে, লালমনিরহাটে পবিত্র কোরআনের অবমাননা করার অভিযোগে একজন মুসলিমকে কয়েক শত মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এরপর ওই ব্যক্তির দেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়।
[৮] সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এবং মুক্ত বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, অন্য প্রতিনিধিরা, মার্কিন দূতাবাসের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক এম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ধর্মের নামে এসব সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তারা সরকারকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার সমুন্নত রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :