শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২১, ০১:০৯ দুপুর
আপডেট : ১৭ মে, ২০২১, ০১:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] অল্প পরিশ্রম ও স্বল্পব্যয়ে লাভ বেশি হওয়ায় বেড়েছে কাউনের চাষ

জেরিন আহমেদ :[২] নাগেশ্বরীর দুধকুমর নদ তীরবর্তী বল্লভেরখাস ইউনিয়নের ফান্দের চরের একটি কাউন ক্ষেত । নাগেশ্বরীতে বাড়ছে দানা জাতীয় খাদ্য কাউনের চাষ। এটি একটি দানা জাতীয় খাদ্য ।

[৩] চলতি মৌসুমে উপজেলার দুধকুমার নদীর চরাঞ্চল বামনডাঙ্গা, বল্লভের খাস ইউনিয়ন এবং গঙ্গাধর নদীর চরাঞ্চলে কাউন চাষ হয়েছে। কৃষক আব্দুল মালেক জানান, দুই বিঘা অনাবাদী জমিতে কাউন বুনেছেন। ফলন ভালো হয়েছে।

[৫] এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, এবার নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে ১৮ হেক্টর জমিতে দেশি জাতের কাউন আবাদ হয়েছে। দিনদিন এ চাষ বাড়ছে। খড়া মৌসুমের আবাদযোগ্য এ ফসল চাষে চরাঞ্চলের কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

[৬] কাউন হচ্ছে পুষ্টিকর দানা জাতীয় খাদ্য। কাউন দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার যেমন-পায়েস তৈরি করা হয়। বিস্কুট তৈরিতে কাউন ব্যবহার করা হয়। তাই দানা জাতীয় ফসল হিসেবে কাউনের চাহিদা শহর গ্রাম সবখানেই আছে। কাউন চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করাও সম্ভব।

[৭] উপযুক্ত জমি ও মাটিঃ প্রায় সব ধরনের মাটিতে কাউনের চাষ করা যায়। তবে পানি দাঁড়ায় না এমন বেলে দোঁআশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়। সূত্র:

[৮] প্রায় সব ধরনের মাটিতে কাউনের চাষ করা যায়। তবে পানি দাঁড়ায় না এমন বেলে দোঁআশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়।

[৯] জাত পরিচিতি,কাউনের স্থানীয় জাত ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘তিতাস’ নামের একটি জাত আছে। কাউনের এ জাতটি শিবনগর নামে ১৯৮০ সালে কুমিল্লা জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং দেশি বিদেশি জাতের সাথে তুলনামূলক মূল্যায়ণের পর ১৯৮৯ সালে তিতাস নামে অনুমোদন করা হয়। তিতাস জাত উচ্চ ফলনশীল, আগাম রোগ ও পোকা প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন।

[১০] তিতাস জাতের গাছ মাঝারি লম্বা, পাতা সবুজ , কান্ড শক্ত । গাছ সহজে নুয়ে পড়ে না । শীষ বেশ লম্বা, মোটা এবং রেশমী। বীজ মাঝারি আকারের এবং ঘিয়ে রঙের। হাজার বীজের ওজন ২.৩-২.৫ গ্রাম । স্থানীয়

[১১] জাতের চেয়ে ফলন প্রায় ৩০-৩৫% বেশি। জাতটি রবি মৌসুমে ১০৫-১১৫ দিনে এবং খরিফ মৌসুমে ৮৫-৯৫ দিনে পাকে । তিতাস জাতটি গোড়া পচা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন । রবি মৌসুমে তিতাসের ফলন হেক্টর প্রতি ২.০-২.৫ টন। খরিফ মৌসুমে এর ফলন একটু কম হয়। সূত্র: ইত্তেফাক অনলাইন, কৃষি অনলাইন নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়