আসাদুজ্জামান: [২] ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ তাকে তার শহরের পলাশপোলের সবুজবাগের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। এর আগে আজ রোববার সকালে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলমসহ পাঁচ আইনজীবীর বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন লিয়াকত হোসেন নামের একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবি।
[৩] এছাড়া গত ২৬ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আশাশুনি থানার একটি ধর্ষণ মামলায় আসামীর জামিন শুনানীকালে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে জামিনের বিরোধিতা করায় পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ সম্পর্কে কটূক্তি করেন অ্যাড. শাহ আলম। এ ঘটনায় পরদিন ২৭ এপ্রিল পিপি বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
[৪] মামলার অভিযোগে বলা হয়, একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবীর গলায় ‘আমি আইনজীবী নই, আমি টাউট’ এমন একটি লেখা ঝুলিয়ে তা ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে রোববার সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন শিক্ষানবীশ আইনজীবী অ্যাড.লিয়াকত হোসেন।
[৫] মামলার আরজিতে আরো বলা হয়, অ্যাড. শাহ আলম ও তার চার সহযোগী আইনজীবী তার গলায় কুরুচিপূর্ণ লেখাটি জোর করে ঝুলিয়ে দেন এবং তার ছবি ধারন করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (৫), অ্যাড, তারিক ইকবাল তপু, অ্যাড. শাহেদুজ্জামান শাহেদ, অ্যাড. ফুয়াদ হাবিব টিটো।
[৬] মামলায় তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, তিনি ল’ পাস করার পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। সাবেক সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ তাকে শিক্ষানবীশ আইনজীবি হিসাবে একটি কার্ড দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অথচ ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর সেসময়কার আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম তাকে তার চেম্বারে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে মারপিট করে গলায়, ‘আমি আইনজীবি নই, আমি টাউট’ প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ছবি তুলে তার নিজের ফেসবুক আইডিতে ছেড়ে দেন। এতে তার সম্মানহানি এবং মর্যাদাহানি হয়েছে। তিনি এর বিচার দাবি করেন।
[৭] সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অ্যাড. শাহ আলমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :